বিশ্বব্যাংকের বিশ্বব্যাপী মন্দার পূর্বাভাস: বিশ্বব্যাপী ২০২৩ সালে মন্দা আসতে পারে, এটা আসলে বিশ্ব ব্যাংকের ফোরকাস্ট। মন্দা আসলে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাবে। যেসব দেশ খাদ্য আমদানি করে চলে সেই দেশগুলোতে দুর্ভিক্ষের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। কারণ যখনই মন্দা আসবে, অনেক দেশ খাদ্য রপ্তানি বন্ধ করে দিবে নিজের দেশকে নিরাপদ করার জন্য। পৃথিবীতে সব দেশ খাদ্য উৎপাদন করে না। গবেষণার তথ্য অনুযায়ী পৃথিবীতে মাত্র ২০ শতাংশ দেশে খাদ্য উৎপাদিত হয়। বাকি ৮০ শতাংশ দেশ খাদ্য আমদানি করে চলে। ঐ হিসেবে দুর্ভিক্ষের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। যদি বিশ্ব ব্যাংকের ফোরকাস্ট কার্যকর হয়ে যায়।
আমি খাদ্যখাতের ব্যবসায়ের সাথে জড়িত। সেই ক্ষেত্রে আমাদের ব্যবসায়ে প্রভাব পড়বে। আমাদের বেসিক খাদ্যের মধ্যে চাল ও আটা- ময়দা প্রধান। এই বেসিক ফুড যখন মানুষ পাবে না, তখন অন্য ফুডও যেমন বিস্কিট, ব্রেড, পরোটা মানুষ খেতে চাইবে না। বিশ্বব্যাপী গম এখন নেই বললেই চলে। বর্তমানে আটার কেজি ৫৫ টাকা। বিশ্বব্যাপী গমের ক্রাইসিস দেখা দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী মন্দার এটা একটা পূর্বলক্ষন।
ডলারের মূল্য বৃদ্ধি: ডলারের ক্রাইসিস বলে দিচ্ছে মন্দার পূর্বাভাস। আমাদের দেশের ফরেন কারেন্সি ইনকাম সোর্স দুটো। একটি হলো ফরেন রেমিটেন্স, যা প্রবাসীরা পাঠায়। আরেকটি হলো রফতানি আয়। এক্সপোর্টের ৯০ ভাগ গার্মেন্টস সেক্টর থেকে আসে। এ দুটোর ওপরেই আমাদের ফরেন রেমিটেন্সের ৯৫ ভাগ নির্ভর করে। ইতালিতে এখন ক্রাইসিস শুরু হয়ে গেছে। ইতালিতে আমাদের প্রবাসী যারা আছেন, তারা আগের মত টাকা দেশে পাঠাতে পারবে না। কারণ তাদের দেশেরইতো ইনকাম নেই। আগে তাদের সংসার চালাবেন তারপর টাকা সেভ হলে দেশে পাঠাবেন। তারা যদি নিজেরাই চলতে না পারে, তাহলে টাকা কিভাবে পাঠাবে। একই সময়ে আমার যে গার্মেন্টস- ফুড আইটেম এক্সপোর্ট করি, এগুলো বেসিক ফুড বা বেসিক আইটেম নয়। আপনার হাতে টাকা থাকলে আপনি নতুন জামা কিনবেন। টাকা না থাকলে আপনি দুই বছর আগের জামাটা-ই পরতে থাকবেন। আমাদের বেসিক হচ্ছে আগে খাদ্য, পরে পোশাক। সেই ক্ষেত্রে গার্মেন্টস রপ্তানিতেও প্রভাব পড়বে। কয়দিন আগে বিজিএমইএ সভাপতি বলেছেন, গার্মেন্টসের অর্ডার কমে গেছে। আমরাও ধারণা করছি, একটি খারাপ অবস্থা অলরেডি শুরু হয়ে গেছে। ২০২৩ সালে এটা প্রকাশ হবে। বর্তমানে যে অবস্থা বিরাজ করছে এটা কিন্তু মানুষের তৈরি, প্রাকৃতিক না। কিছু কিছু ঘটনা হয় ন্যাচারাল যেমন, অনাবৃষ্টি,অতিবৃষ্টি, দুর্ভিক্ষ।
সমগ্র বিশ্বে ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ গম- ভুট্টা-সানফ্লাওয়ার রপ্তানি করে ইউক্রেন ও রাশিয়া। এই সাপ্লাই চেইন পুরোটাই এখন বন্ধ হয়ে গেছে। ইউরোপের পুরো গ্যাস ও জ্বালানি সাপ্লাই আসে রাশিয়া থেকে। ইউরোপ এখন জ্বালানি পাচ্ছে না। এর ফলে তাদের উৎপাদন ক্ষমতা কমে গেছে। এর কারণে তাদের লোকজনের ইনকাম কমে গেছে। ইনকাম কমে যাওয়ার ফলে তারা পোশাক কিনতে পারবে না। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের যুদ্ধ- বিদ্রোহ বন্ধ করতে হবে। এগুলো আমাদের হাতে নেই। আমরাও ভুক্তভোগী। ইউক্রেন - রাশিয়া তারা কেউই বলতে পারবে না তারা ভালো আছে। তাদের সাথে সারা বিশ্ব সাফার করছে।
বিদ্যুৎ সংকট: যুদ্ধ থেকেই বিদ্যুৎ সংকট তৈরি হয়েছে। কারণ আমাদের বিদ্যুৎ একটি বড় অংশ হয় ডিজেলভিত্তিক। এখন জ্বালানি দাম বেড়ে গেছে। আরেক দিকে ফরেন কারেন্সি রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। সরকার বাধ্য হচ্ছে ডিজেলভিত্তিক ইউনিটগুলো বন্ধ রাখতে। তা না হলে প্রচুর ডিজেল ইমপোর্ট করতে হবে। ডিজেল ইমপোর্ট করলে ফরেন কারেন্সি আরো কমে যাবে। এটার এফেক্ট পড়ছে পুরো শিল্প ব্যবস্থার উপর। বিদ্যুৎ না পেলে আপনাকে জেনারেটর চালাতে হবে। আল্টিমেটলি সেই ডিজেল-ই কনজামশন হচ্ছে। যার ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। আমরা যে বিদ্যুৎ রাষ্ট্রের কাছ থেকে পাই, সেটা বড় ইউনিট থেকে তৈরি করে। এর উৎপাদন খরচ কম। আমরা যখন ইন্ডিভিজুয়াল পাওয়ার প্লান্ট বা জেনারেটর বসিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করি তখন খরচ বেড়ে যায়। আমরা চাইলেই একটা ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দিতে পারি না। কারণ এর সাথে শ্রমিক- ব্যাংক- উদ্যোক্তা জড়িত। তাই বাধ্য হয়েই আমরা জেনারেটর চালাই। এর ফলে আমাদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। আমরা ১০ টাকায় যে বিদ্যুৎ পেতাম। ডিজেলের জন্য এর খরচ পড়ছে ২০ টাকা। এই পুরো এফেক্ট ঘুরেফিরে কাস্টমারের উপর পড়ছে। লোডশেডিংয়ের জন্য রাষ্ট্রের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। রাষ্ট্রের কিছু করারও নেই। এখন আমাদের ব্যালেন্স করে চলতে হবে।
মিডিয়াতে এসেছে গ্যাস না পাওয়ার কারণে নারায়ণগঞ্জের গার্মেন্টস ডাইং ফ্যাক্টরি সবগুলোই বন্ধের দিকে। আমাদের দেশের গ্যাসের রিজার্ভ অনেক কমে গেছে। আমরা লিকুইড ন্যাচারাল গ্যাস বা এলএনজি ইমপোর্ট করি। এটার দাম অনেক বেড়ে গেছে। এখন সরকার যদি এলএনজি ইমপোর্ট করে পাইপ লাইনে দিতে যায়, তাহলে সরকারকে প্রচুর ভর্তুকি দিতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের ভর্তুকি দিতে হবে। সেটা দেয়া পায় অসম্ভব। আবার সরকার যদি মার্কেট প্রাইজে এলএনজি দিতে শুরু করে, তাহলে ইন্ডাস্ট্রি সারভাইভ করবে না। কারণ গ্যাসের যে দামটা বর্তমানে দাঁড়াবে, সেই দামে ক্রয় করার সক্ষমতা আমাদের ইন্ডাস্ট্রিজের নেই।
ইতিমধ্যে সালমান এফ রহমান সাহেব বলেছেন যে, গ্যাসের ভর্তুকি হয়তো বন্ধ করে দিতে হবে। যদি তাই হয়, তাহলে আমাদের গার্মেন্টস সাসটেইন করবে না। খাদ্যমূল্য অনেক বেড়ে যাবে। আসার কথা হচ্ছে, আমাদের রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র যদি চালু হয়ে যায়। কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রামপাল আগামী ফেব্রুয়ারি মার্চের মধ্যে চালু হওয়ার কথা রয়েছে যদি তা হয়। আমরা যদি ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে সরে আসতে পারি, তাহলে বর্তমান বিদ্যুৎ সংকট কিছুটা কমে যাবে।
বর্তমান পুঁজিবাজার: আমি আসলে পুঁজিবাজারের কিছু জিনিস মার্কেটের উপরে ছেড়ে দেয়ার পক্ষে মত দিতে চাই। এটা আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, আমরা জোর করে দাম ধরে রাখছি। পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইসের অর্থ হচ্ছে, এই প্রাইজের নিচে নামতে পারবে না। তাহলে ব্যাপারটা এমন হলো, নির্ধারিত ফ্লোর প্রাইজের নিচে শেয়ার প্রাইজ নামতে পারবে না। প্রতিটা শেয়ারের একটা অরিজিনাল প্রাইজ আছে। আমার ১০ টাকার শেয়ার, কোম্পানির অবস্থার উপর শেয়ারের মূল্য ২০-৩০ টাকা হতে পারে। শেয়ারের অতিরিক্ত মূল্য হলে, যারা নলেজেবল বায়ার, স্টাডি করে শেয়ার ক্রয় করেন, তারা কিনবে না। একটা গ্রুপ আছে যারা হুজুগে শেয়ার কেনেন, তাদের কথা আলাদা। যারা স্টাডি করে শেয়ার কেনেন, বিশেষ করে কর্পোরেট হাউসগুলো তারা কিন্তু কখনো ওভার প্রাইজে শেয়ার কেনেন না। যে শেয়ারের দাম হওয়ার কথা ৩০ টাকা, সেটা ৬০ টাকায় তারা কিনবে না। ফ্লোর প্রাইজে শেয়ারকে ৬০ টাকায় ব্লক করে দেয়া হলো। এখন শেয়ার বিক্রি হচ্ছে না। কারণ এই প্রাইজের নিচে শেয়ার নামতে পারবে না। তাহলে উপায় কি ছিল? যেভাবে শেয়ার মার্কেট পড়ে যাচ্ছিল ফ্লোর প্রাইজ দেয়া ছাড়া কোন উপায়ও ছিল না। আমার কথা হলো, এই শেয়ারটা যখন বাড়লো তখন নিয়ন্ত্রণ করা উচিৎ ছিল। যে শেয়ার ৩০ টাকা থাকার কথা, সেই শেয়ারটা ৩৫-৪০ টাকা হতে পারে, কিন্তু যখন সেটা ১০০ টাকা হয়ে গেলো, তখন আমাদের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো কেন এটার দিকে নজর দিল না? কেন দেখলো না যে শেয়ার টা কিভাবে বাড়ছে? কারা শেয়ার ম্যানিপুলেট করে দাম বাড়িয়েছে। কারা শেয়ার প্রাইজ বাড়াচ্ছে। কারা ট্রেড করছে। কার কাছ থেকে শেয়ার কার কাছে যাচ্ছে। ১০ টাকার শেয়ারকে কোন্ গ্রুপ ২০০ টাকায় নিয়ে যাচ্ছে। তারা এই শেয়ার থেকে ২০০ কোটি টাকা প্রফিট করে নিচ্ছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা ওই গ্রুপকে ২ কোটি টাকা ফাইন করে দিলো। এটা কোনো লজিক হলো বলে আমার মনে হয় না। আমার মতে তারা যে লাভ করেছে তার পুরোটাই ফাইন এবং এর সাথে আরো অতিরিক্ত ১০ শতাংশ ফাইন করা উচিৎ। তাহলে তারা সাহস পেত না। ফ্লোর প্রাইজও দেয়ার প্রয়োজন হতো না। আমি মনে করি, এটা আমাদের সিস্টেমের দুর্বলতা।
পুঁজিবাজারে বন্ড মার্কেট: বন্ড মার্কেট খুব ভালো একটি মার্কেট। বাংলাদেশে বন্ড মার্কেট সম্পর্কে অনেকেই অবগত নয়। বন্ড মার্কেট বেশি বাড়বেও না কমবেও না। বন্ড মার্কেট থেকে আপনি ১০-১২-১৫ শতাংশ প্রফিট পাবেন। বন্ড মার্কেট থেকে আপনি অনেক বেশি প্রফিট পাবেন না। আবার ভয়াবহ লসও হবে না। আমাদের মধ্যে একটি ভাবনা আছে আমরা একদিনে কোটিপতি হয়ে যাব। আমাদের মধ্যে ধৈর্য নেই। আমরা চাই আজকে শেয়ার মার্কেটে ১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ১৫ দিনের ভিতরে ৫০ লক্ষ টাকা প্রফিট করে নিব। বন্ড মার্কেটে এটা সম্ভব নয়। বন্ড মার্কেট আপনাকে একটা স্টেডি প্রফিট দেবে।
শেয়ার মার্কেটে যদি কেউ ১ কোটি টাকা প্রফিট করে কোম্পানির ডিভিডেন্ড ছাড়া। তাহলে এই প্রফিটের পেছনে ১ থেকে ১০ জনের লস হয়েছে। ডিভিডেন্ডের প্রফিট হলো কোম্পানি তার ব্যবসা পরিচালনা করে যে প্রফিট করেছে, সেই প্রফিটের অংশ থেকে একটা অংশ শেয়ার হোল্ডারকে দেয়। শেয়ারের দাম বৃদ্ধির যে প্রফিট আপনি গ্রহণ করেছেন, সেই প্রফিটের টাকায় কারো না কারো লস রয়েছে। অর্থাৎ আপনার টাকা আমার পকেটে আসছে, আর আমার টাকা আপনার পকেটে যাচ্ছে।
শেয়ার মার্কেটের ব্যবসা হলো, আপনাকে ডিভিডেন্ডের উপর নির্ভর করতে হবে। অথচ আমাদের টেন্ডেন্সি হলো, শেয়ারের দাম কত বাড়লো। কোন কোম্পানি কত টাকা ডিভিডেন্ড দিল তার দিকে আমাদের নজর নেই। এর জন্য বন্ড মার্কেট দাঁড়াতে পারছে না। বন্ড মার্কেট ১০ শতাংশের নিচে প্রফিট দেয় না।
প্রভাতী ইন্সুরেন্স কোম্পানি: আমাদের অনেকগুলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রভাতী ইন্সুরেন্স একটি। আপনারা শুনে খুশি হবেন, এ বছরের ক্রেডিট রেটিংয়ে আমরা বাংলাদেশের ইন্সুরেন্স কোম্পানিগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ট্রিপল এ ক্রেডিট রেটিং অর্জন করেছি। আমাদের অভিজ্ঞ কর্মচারি এবং ক্লায়েন্টের জন্যই ট্রিপল এ ক্রেডিট রেটিং অর্জন সম্ভব হয়েছে। কিছু দিন আগে আমরা একটি অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছি। এই অ্যাওয়ার্ড টি হলো সাউথ এশিয়ান রিজনের অ্যাওয়ার্ড। এখানে আমরা সাউথ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেস্ট ইমার্জিং নন লাইফ ইন্স্যুরেন্স হিসেবে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি।
প্রভাতী ইন্সুরেন্স তৃতীয় প্রজন্মের ইন্সুরেন্স কোম্পানি। বাংলাদেশের ইন্সুরেন্স কোম্পানির চারটি প্রজন্ম রয়েছে। প্রভাতী ইন্সুরেন্স কোম্পানি তৃতীয় প্রজন্মের ইন্সুরেন্স কোম্পানি হয়েও প্রথম প্রজন্মের ইন্সুরেন্স কোম্পানির সাথে সমান্তরালে কাজ করে যাচ্ছে। একজন গ্রাহক ইন্সুরেন্স কেন করে? তার বীমা দাবিটা সময়মতো পাওয়ার জন্য। প্রভাতী ইন্সুরেন্স সব সময় যত দ্রুত সম্ভব গ্রাহকের বিমা দাবি পরিশোধ করে আসছে। আমরা অযথা গ্রাহকদের কাগজপত্র নিয়ে ঝামেলা করি না। যে কাগজপত্রগুলো ম্যান্ডেটরি শুধু সেগুলোই গ্রাহকের কাছে চাওয়া হয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এত কাগজপত্র জমা দিতে গেলে, গ্রাহকের পক্ষে বিমা দাবি সেটেল করা আসলেই কঠিন। আমাদের সন্দেহ হলে আমরা চাইতে পারি। কিছু কাগজপত্র মেন্ডেটরি আর কিছু হচ্ছে অপশনাল।
উদাহরণস্বরূপ বলছি, আগুন লাগলে ফায়ার বিগ্রেডের রিপোর্ট লাগে। আমরা ছোটখাটো বিমাদাবি হলে ফায়ার বিগ্রেড রিপোর্ট ছাড়া আবেদন করলেই বিমা দাবি পরিশোধ করে দেই। কিছু বিমা কোম্পানি আছে ফায়ার বিগ্রেড রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত বিমা দাবি পরিশোধ করে না। ফায়ার ব্রিগেডের রিপোর্ট পেতে কমপক্ষে তিন থেকে চার মাস সময় লাগে। যদি আমাদের কোম্পানি থেকে ক্লেইম দিতে হয়, আমরা সেখানে ছাড় দেই। যেই বিমা দাবিগুলো ফরেন লিংক ও সাধারণ বিমার সাথে লিংক থাকে সেখানে আমাদের কিছু করার থাকে না। তখন রিপোর্টগুলো আমাদের নিতে হয়। আমি মনে করি, সরকারের এ নিয়মগুলো আরো সহজ করা দরকার। তাহলে ইন্সুরেন্স কোম্পানিগুলো আরো ভালো সার্ভিস দিতে পারবে।
প্রভাতী ইন্সুরেন্স কোম্পানি বাংলাদেশের ৪৮ টি বীমা কোম্পানির মধ্যে টপ পঞ্চম অবস্থানে আছে। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি আমরা শীর্ষ তিনে উঠে আসবে ইনশাল্লাহ।
একটি মেসেজ সবার জন্য দিতে চাই। আমরা সবাই যেন সাশ্রয়ী হই। অপ্রয়োজনীয় খরচ না করি। এই মুহূর্তে যেহেতু ক্রাইসিস যাচ্ছে। বিশ্ব মন্দার পূর্বাভাস দেয়া হচ্ছে। আমরা সবাই যদি অল্প করে সেভ করতে পারি, দেশের জন্য ভালো হবে।
শাখাওয়াত হোসেন মামুন
ভাইস চেয়ারম্যান
ভাইয়া গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ