এগিয়ে চলছে শরীয়তপুর-নড়িয়া সড়ক উন্নীতকরণ কাজ

দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে শরীয়তপুর-নড়িয়া সড়ক উন্নীতকরণ ও মজবুতিকরণের কাজ। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ জোনের আওতায় ২৮ কোটি ৯ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা ব্যয়ে শরীয়তপুরের প্রেমতলা থেকে নড়িয়া বাজার পর্যন্ত দুইটি প্যাকেজে ১১.৩ কিলোমিটার সড়কের কাজ করা হচ্ছে। চুক্তি অনুযায়ী আগামী ৩০ জুন ২০২০ কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। সড়কের কাজ সম্পন্ন হলে এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ দিনের দুর্ভোগ লাঘব হবে বলে আশা করছেন সর্বসাধারণ।

শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আশিক কাদির বলেন, জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রস্ততায় উন্নীতকরণের আওতায় দুইটি প্যাকেজে ২৮ কোটি ৯ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রেমতলা থেকে নড়িয়া বাজার পর্যন্ত ১১.৩ কিলোমিটার সড়কের কাজ শুরু হয়। সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে অধিদপ্তরের কার্যাদেশ অনুযায়ী এমএম বিল্ডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লি: ও মো: মঈনুদ্দিন(বাসি)লি:২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে কাজ শুরু করে। আমরা যথাযথ মান বজায় রেখে কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নিয়মিত তদরকি করছি। আশা করছি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে মানসম্মত সড়ক উপহার দিয়ে নড়িয়াসহ ওই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ দিনের যাতায়াতের সমস্যা দূর করতে সক্ষম হবো। ভোজেশ্বর বাজারের ব্যবসায়ী অরুণ পাল বলেন, প্রেমতলা থেকে নড়িয়া বাজার পর্যন্ত ভাঙ্গাচুরা সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে বেশ কষ্ট হতো। ইতিমধ্যে ভোজেশ্বর থেকে নড়িয়া পর্যন্ত সড়কের কাজ অনেকাংশে শেষ হওয়ায় আমারা বেশ আরামদায়ক ও নিরাপদভাবে চলাচল করতে পারছি। পুরো সড়কের কাজ শেষ হলে এ অঞ্চলের মানুষের মানুষের যাতায়াতের ভোগান্তির শেষ হবে।

নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়ন্তী রূপা রায় বলেন, নড়িয়া উপজেলার সাথে জেলা সদরের সাথে যোগাযোগের অন্যতম সড়ক এটি। দীর্ঘদিন থেকে সড়কটি ভাঙ্গচুরা থাকায় সকল শ্রেণীপেশার মানুষের যাতায়াতে ভোগান্তির শেষ ছিল না। বিশেষ করে পদ্মার ভাঙ্গনের ফলে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি আংশিক বিলীন ও ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় রোগীদের জেলা সদর হাসপাতালে যেতে বেশ কষ্ট পেতে হতো। এছাড়াও ব্যবসায়ীদের পণ্য আনা নেয়ায় অধিক ব্যয়, শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের কষ্টসহ কিছু কিছু সময় ঘটত দুর্ঘটনা। তাই সড়কের কাজ সম্পন্ন হলে সকল শ্রেণীপেশার মানুষ ভোগান্তি লাঘব হবে। এবং স্বাচ্ছন্দে ও আরামদায়কভাবে যাতায়াত করতে পারবে। তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান