এত চাল গেল কোথায়?

কেন্দ্রীয় খাদ্যগুদাম,সিএসডি গোডাউনে একটি চালের চালানের প্রায় এক তৃতীয়াংশ চালই গায়েব হয়ে গেছে। সম্প্রতি তেজগাঁও সিএসডি গোডাউনে ঘটেছে এই ঘটনা। জানা গেছে ৩০ টন চালের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৯ টন চালের ঘাটতি পাওয়া গেছে ওই চালানে। এছাড়া আরও একটি চালের চালানে প্রায় ১৮৩ টন চালের গড়মিল পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতি বস্তায় ৩০ কেজি করে চাল থাকার কথা থাকলেও কোনো বস্তায় চাল পাওয়া গেছে ১২ থেকে ১৪ কেজি। কোনো কোনো বস্তায় সর্বোচ্চ ২০ কেজি।

র‍্যাব জানায়, চালানটি ঢাকা-৪ আসনের সাংসদ সৈয়দ আবু হোসেনের নির্বাচনী এলাকার পানিবন্দী মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।

৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, পাঁচটি গাড়িতে করে র‍্যাব সদস্যরা গুদামে প্রবেশ করেন। এরপর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলমের গুদামের ব্যবস্থাপকের কক্ষে গিয়ে বিভিন্ন নথি পরীক্ষা করেন। নথিতে গরমিল পাওয়ার পর গুদামে গিয়ে চালের বস্তা বের করে সেটি মাপার ব্যবস্থা করেন।এ সময় প্রতিটি বস্তায় অসংগতি দেখা যায়।

সারওয়ার আলম বলেন, গতকাল রাতে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে র‍্যাব সদস্যদের নিয়ে গুদামের সামনে চালের ট্রাক আটক করা হয়। আজ ট্রাক থেকে চালের বস্তা নামিয়ে ওজনে অনেক বেশি হেরফের পাওয়া যায়। এই অনিয়মে গুদামের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা জড়িত।

তিনি বলেন, একটি ট্রাক মালামাল নিয়ে বিকেল ৫টার পর গুদাম ত্যাগ করতে পারে না। অথচ গতকাল রাত ৮টায় গুদাম থেকে চালের ট্রাক ছাড় করা হয়েছে, এটি অনিয়ম।

তিনি বলেন, চালের বস্তাগুলো পরিমাপ করা হয়েছে। এগুলো নমুনা হিসেবে আটক করা হবে। বিষয়টি গুছিয়ে আজই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, এখানে গতকাল আনসার ভিডিপি ও সিভিল ডিফেন্সকে ৭৫ টন চাল দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গুদামের কাগজে দেখানো হয়েছে ২৫৮ টন চাল দেওয়া হয়েছে। এই হিসাবে ১৮৩ টন চালের হিসাব ভুয়া। বিষয়টিও নথি আকারে দুদকের কাছে পাঠানো হবে।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/ ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭