এনামুলের আরেকটি ডাবল সেঞ্চুরি

জাতীয় ক্রিকেট লিগে এবারের আসরের আগে এনামুল হকের ডাবল সেঞ্চুরি ছিল না একটিও। তরুণ এই ওপেনার এক আসরে করে ফেললেন দুটি ডাবল সেঞ্চুরি। তার ২০২ রানের ওপর ভর করে ইনিংস ব্যবধানে জয়ের আশা জাগিয়েছে খুলনা।

গত সেপ্টেম্বরে রংপুরের বিপক্ষে ২১৬ রান করেছিলেন এনামুল। চলতি আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক নিজের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি পেলেও সুযোগ হাতছাড়া করেছেন মেহেদি হাসান। প্রথম স্তরের ম্যাচের তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ঢাকার সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৬৯ রান। ইনিংস পরাজয় এড়াতে এখনও ১৭৭ রান চাই দলটি। তাইবুর রহমান ৩৫ ও নাদিফ চৌধুরী ২ রানে ব্যাট করছেন।

ঢাকার ব্যাটসম্যানরা ফিরেছেন থিতু হয়ে। জাহিদুজ্জামানকে ফিরিয়ে দলকে প্রথম সাফল্য এনে দেন রুবেল হোসেন। শুভাগত হোম চৌধুরীকে ফিরিয়ে দেন মেহেদি। ১১৫ বলে ৫৮ রান করা রকিবুল হাসানের বাধা উপড়ে ফেলেন মুস্তাফিজুর রহমান। শেষ বেলায় আব্দুল মজিদকে ফিরিয়ে খুলনার ইনিংস ব্যবধানের জয়ের আশা আরও উজ্জ্বল করে তুলেন আব্দুর রাজ্জাক।

খুলনা ১ উইকেটে ৩৭০ রান নিয়ে শুক্রবারের খেলা শুরু করে। এনামুলের ডাবল সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে ৪৫৯ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে আগেই শিরোপা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলা দলটি। ১৬৮ রান নিয়ে দিন শুরু করা মেহেদিকে শুরুতেই ফিরিয়ে দেন মোহাম্মদ শরীফ। ১৬০ বলে খেলা মেহেদির ১৭৭ রানের ইনিংসে চার ২১টি, ছক্কা দুটি।

১৬৭ রান নিয়ে দিন শুরু করা এনামুল ২৪৮ বলে পৌঁছান ডাবল সেঞ্চুরিতে। তার ইনিংস থেমেছে শুভাগতর বলে তাইবুরকে ক্যাচ দিয়ে। এনামুলের ২৫১ বলে খেলা ২২০ রানের ইনিংসটি গড়া ২৩ চার ও ৪ ছক্কায়। ২৯৫ রানের জুটি ভাঙার পর নিয়মিত উইকেট হারিয়েছে খুলনা। দুই অঙ্কে

যেতে পারেননি তুষার ইমরান, মোহাম্মদ মিঠুন। নুরুল হাসান, জিয়াউর রহমান ফিরেন দুই অঙ্কে গিয়েই। তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন শরীফ ও শুভাগত।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ঢাকা ১ম ইনিংস: ১১৩
খুলনা ১ম ইনিংস: (দ্বিতীয় দিন শেষে ৩৭০/১) ৯১ ওভারে ৪৫৯/৮ ডিক্লে. (এনামুল ২০২, সৌম্য ৩০, মেহেদি ১৭৭, তুষার ৩, মিথুন ১, নুরুল ১০, জিয়া ১৪, মিরাজ ১৫*, রাজ্জাক ২, রুবেল ০*; শরীফ ৩/৭০, শাহাদাত ০/৮৩, শুভাগত ৩/৮১, নাজমুল ১/১৩৪, সাব্বির ১/৭৪, তাইবুর ০/১৪)
ঢাকা ২য় ইনিংস: ৬৬ ওভারে ১৬৯/৪ (জাহিদ ২০*, রকিবুল ৫৮, শুভাগত ২৫, তাইবুর ৩৫*, মজিদ ২৭, নাদিফ ২*; মুস্তাফিজ ১/২০, মিরাজ ০/৫২, রুবেল ১/৩৫, রাজ্জাক ১/৪৩, মেহেদি ১/১৯)
আজকের বাজার: সালি / ২২ ডিসেম্বর ২০১৭