এবার এভারটনের কাছে পরাজিত ইউনাইটেড, বড় জয় পেয়েছে চেলসি

প্রিমিয়ার লিগে রেলিগেশন খরায় থাকা এভারটনের কাছে পরাজিত হয়ে এবার হতাশ করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এদিকে সাউদাম্পটনকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে শীর্ষ চারের লড়াইয়ে নিজেদের দারুনভাবে টিকিয়ে রেখেছে চেলসি। ব্রাইটনের কাছে ২-১ গোলে পরাজিত হয়ে আবারো পঞ্চম স্থানে নেমে গেছে আর্সেনাল। তলানির থেকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওয়াটফোর্ডকে ৩-০ গোলে পরাজিত করে ড্রপ জোন থেকে আবারো নিজেদের টেনে তুলেছে লিডস।

জানুয়ারির শেষে বরখাস্ত হওয়া রাফায়েল বেনিতেজের স্থলাভিষিক্ত ফ্র্যাংক ল্যাম্পার্ড ইউনাইটেড সফরে যাবার আগে নয় ম্যাচে এভারটনকে মাত্র দুটি জয় উপহার দিয়েছিলেন। এর মধ্যে সপ্তাহের মাঝামাঝিতে বার্নলির কাছে ৩-২ গোলে পরাজয়ের পর এভারটন রেলিগেশন জোন থেকে মাত্র এক পয়েন্ট উপরে ছিল। এর মাধ্যমে দলের আত্মবিশ্বাসেও চিড় ধরেছিল। কাল গুডিসন পার্কে ম্যাচের শুরুতে মার্কোস রাশফোর্ডের দুটি শট দারুন দক্ষতায় রুখে দেন গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। প্রথমার্ধের ২৭ মিনিটে তরুন ফরোয়ার্ড এন্থনি গর্ডনের শট ইংলিশ ডিফেন্ডার হ্যারি ম্যাগুয়েরের সাথে ডিফ্লেকটেড হয়ে ডেভিড ডি গিয়াকে পরাস্ত করলে এগিয়ে যায় এভারটন। শেষ পর্যন্ত ঐ এক গোল আর পরিশোধ করতে পারেনি ইউনাইটেড। দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো ইনজুরি কাটিয়ে কাল দলে ফিরেছিলেন। কিন্তু আক্রমনভাগে তাকে পুরো ম্যাচে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এনিয়ে লিগে অষ্টম পরাজয়ে টেবিলের সপ্তম স্থানে নেমে গেছে ইউনাইটেড।

ম্যাচ শেষে ল্যাম্পার্ড জানিয়েছেন লড়াকু দলটি নিয়ে তিনি দারুন গর্বিত। ১৯৫৪ সালের পর থেকে এভারটনের ইংলিশ শীর্ষ লিগে টিকে থাকার রেকর্ডকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য প্রতি মৌসুমেই খেলোয়াড়রা নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করে। চেলসির সাবেক এই বস বিটি স্পোর্টকে বলেছেন, ‘এটাই ফুটবলের সৌন্দর্য্য। এই দলটির ভাল খেলার আকাঙ্খা আছে। কিন্তু যে পজিশনে আমরা এখন আছি তাতে আগে লড়াই চালিয়ে যাবার মানসিকতা দেখাতে হবে এবং পরে তা মাঠে কার্যকর করতে হবে।’

গত মৌসুমে দ্বিতীয় স্থানে থেকে মৌসুম শেষ করা ইউনাইটেড অন্তর্বর্তীকালীণ কোচ রাল্ফ রাংনিকের অধীনে মাত্র ৪৭ শতাংশ ম্যাচে জয়ী হয়েছে। যেকোন ম্যানেজারের অধীনে এটাই তাদের জয়ের সর্বনিম্ন রেট। এবারের মৌসুমের পরে আরো দুই বছর ক্লাবের পরামর্শক হিসেবে থাকার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন রাংনিক। কাল নিজের হতাশা ব্যক্ত করতে গিয়ে রাংনিক বলেছেন, ‘আমি মনে করিনা এই ধরনের পরাজয়ের পর কারো কোন যুক্তি দেবার প্রয়োজন আছে। আমরা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, এই দলে বেশ কয়েকজন আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় রয়েছে। কোনভাবেই এই ধরনের পরাজয় মেনে নেয়া যায়না।’

তৃতীয় স্থানে থাকা চেলসি গত সপ্তাহে ব্রেন্টফোর্ডের কাছে ৪-১ গোলের হতাশাজনক পরাজয় বরণ করেছিল। এরপর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ৩-১ গোলে পরাজিত হয়ে বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। কিন্তু শনিবার সাউদাম্পটনকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করে আবারো নিজেদের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়েছে ব্লুজ শিবির।

মার্কোস আলোনসো, ম্যাসন মাউন্ট, টিনো ওয়ার্নার ও কেই হাভার্টজ বিরতির আগেই সফরকারীদের ৪-০ গোলের লিড উপহার দেন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ওয়ার্নার ও মাউন্ট নিজেদের দ্বিতীয় গোল করে দলের বড় জয় নিশ্চিত করেন।

ঘরের মাঠে ব্রাইটনের কাছে পরাজয়ের মাধ্যমে মিকেল আর্তেতার আর্সেনাল শেষ চারটি ম্যাচের তিনটিতেই পরাজিত হলো। এমিরেটস স্টেডিয়ামে ২৮ মিনিটে এনোক এমভেপুর লো ক্রসে লিনড্রো ট্রোসার্ডের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ব্রাইটন। ৬৬ মিনিটেই নিজেই ব্যবধান দ্বিগুন করেন জাম্পিয়ান মিডফিল্ডার এমভেপু। ম্যাচের শেষভাগে মার্টিন ওডেগার্ড আর্সেনালের হয়ে সান্তনাসূচক এক গোল দেন। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান