বকেয়া মজুরির দাবিতে খুলনার রাষ্টায়ত্ত প্লাটিনাম ও ক্রিসেন্ট জুট মিলের পর এবার স্টার জুট মিলের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছেন শ্রমিকেরা।
৭ অক্টোবর শনিবার সকালে ৬ সপ্তাহের বকেয়া মজুরি পরিশোধের দাবিতে উত্তেজিত শ্রমিকরা মিলের উৎপাদন বন্ধ করে দেন।
স্টার জুট মিলের সিবিএ সভাপতি বেল্লাল মল্লিক জানান, শ্রমিকদের ৬ সপ্তাহের মজুরি বকেয়া রয়েছে। তারা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এ জন্য আজ সকাল ৬টা থেকে ক্ষু্ব্দ শ্রমিকরা মিলের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে।
মিলটিতে কত শ্রমিক কর্মচারি-কর্মকর্তা ও কত বকেয়া আছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিলটিতে স্থায়ী-অস্থায়ী সাড়ে ৪ হাজার শ্রমিক কর্মচারী-কর্মকর্তা রয়েছেন। যাদের মধ্যে শ্রমিকদের ৬ সপ্তাহ বকেয়া মজুরি ও কর্মচারি-কর্মকর্তাদের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। মোট বকেয়ার পরিমাণ ৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
এর আগে বুধবার ৭ সপ্তাহের মজুরির দাবিতে প্লাটিনাম জুট মিলের উৎপাদন বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা। আর একই দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালেমিলের উৎপাদন বন্ধ রেখে বিক্ষোভ শুরু করেন ক্রিসেন্ট জুট মিলের শ্রমিকরা।
শ্রমিকরা জানায়, তারা নিয়মিত সপ্তাহের মজুরি পাচ্ছেন না।এতে তারা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। ফলে বাধ্য হয়ে মিলের উৎপাদন বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
ক্রিসেন্ট জুট মিলের সিবিএ সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন জানান, সাত সপ্তাহের মজুরি না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে শ্রমিকরা। বকেয়া বেতন না পাওয়া পর্যন্ত শ্রমিকরা কাজে যোগ দেবেন না।
ক্রিসেন্ট জুট মিলের উপ-মহাব্যবস্থাপক আহমেদ হোসেন বলেন, মিলে প্রায় ৫০ কোটি টাকার উৎপাদিত পণ্য অবিক্রিত রয়েছে। ফলে আর্থিক সংকটের কারণে পাওনা পরিশোধে হিমসিম খেতে হচ্ছে।
তার মিলে শ্রমিকদের ৬ সপ্তাহের মজুরি এবং দুই মাসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বকেয়া রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
উল্লেখ, খুলনার এ তিনটি জুটমিলে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার স্থায়ী ও অস্থায়ী শ্রমিক রয়েছে।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে ৭ অক্টোবর ২০১৭