চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের একটি আবাসিক হোটেলে আটকে রেখে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করেছে পাঁচ বন্ধু। এ ঘটনায় সোমবার হোটেল ম্যানেজারসহ সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটকরা হলেন- উপজেলার ভাটেরখীল গ্রামের মো. নুর নবীর ছেলে মোহাম্মদ আলীম হোসেন (২২), গুলিয়াখালী খালিদ মেম্বারের বাড়ির মোহাম্মদ জামাল উল্লাহ মোহাম্মদ রিফাত (১৯), দক্ষিণ ভাটেরখীল গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে মোহাম্মদ ইমন ইসলাম (২০), একই এলাকার নেছার আহমেদের ছেলে রনি (২০), জসিম উদ্দিনের ছেলে বারেক (২২), আবুল কাসেম মিস্ত্রির ছেলে নয়ন (২২) এবং জলসা হোটেলের ম্যানেজার নুর উদ্দিন (৩৮)।
এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত সীতাকুণ্ডের জলসা আবাসিক হোটেলে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বনিক জানান, সীতাকুণ্ড উপজেলার মধ্যম ভাটেরখীল গ্রামের কাসেম মিস্ত্রির ছেলে নয়নের সাথে এক মাস আগে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে পরিচয় হয় মিরসরাই উপজেলার ওই তরুণীর। এরপর থেকে মোবাইল ফোনে নয়নের সাথে তার নিয়মিত যোগাযোগ হয়।
নয়ন গত শনিবার মোবাইল ফোনে কথা বলে ওই তরুণীকে সীতাকুণ্ডে আসতে বলে। তরুণী সীতাকুণ্ডে গেলে প্রেমিক নয়ন ও তার বন্ধুরা তাকে গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে বিশ্রামের কথা বলে রাতে পৌরসদর ডিটি রোডের মো. আবুল কালামের মালিকানাধীন জলসা হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে ৪র্থ তলার ৪০১ নম্বর কক্ষে আটকে রাখে। পরে নয়ন তরুণীকে জোর করে নেশা জাতীয় ট্যাবলেট খাওয়ায়। এরপর তাকে পর পর তিনবার ধর্ষণ করে। রাত ১০টার দিকে নয়ন খাবার আনার কথা বলে হোটেলের নিচে যায়। এরপর রাত সাড়ে ১০টার দিকে আরও ৫ যুবক পর্যায়ক্রমে রুমে গিয়ে রাত দেড়টা পর্যন্ত ধর্ষণ করে।
এরপর তারা বাইরে চলে যায়। রাত ২টার দিকে হোটেল ম্যানেজার তরুণীকে জানান, আরও তিনজন যুবক হোটেলে আসবে। এ কথা শুনার পর তরুণী আরেকটি রুমে গিয়ে লুকিয়ে থাকে। তিন যুবক তখন তরুণীকে না পেয়ে নিচে চলে যায়।
তরুণীর করা মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, রাত ২টার পর ওই তরুণী হোটেল থেকে বের হয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলে গভীর রাতে বাড়ি যাওয়ার গাড়ি না পেয়ে পৌরসদর বাসস্ট্যান্ডে বসে থেকে সকালে বাড়ি ফিরে যায়।
এরপর সোমবার সকালে তরুণী সীতাকুণ্ড মডেল থানায় গিয়ে বিষয়টি জানালে পুলিশ দিনভর বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে হোটেল জলসার ম্যানেজারসহ সাতজনকে আটক করে।