সিপিডি শুধু নেতিবাচক দিক তুলে ধরে : অর্থমন্ত্রী

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে যে গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সেটিকে ‘রাবিশ’ বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। অর্থমন্ত্রী বলেন, সিপিডি বাংলাদেশকে টেনে নিচে নামানোর চেষ্টা করছে। তারা কখনো বাংলাদেশের উন্নয়ন চোখে দেখে না। শুধু নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরায় ব্যস্ত। সংস্থাটির এ রিপোর্ট ‘অল আর রাবিশ’।’ এছাড়া শিগগিরই নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রোববার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাাৎ করতে আসেন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নতুন কমিটির একটি প্রতিনিধি দল। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। প্রসঙ্গত, গত শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ অর্থনীতি-২০১৭-১৮ অর্থবছর : প্রথম অন্তবর্তীকালীন পর্যালোচনা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন করে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে সিপিডি। সেখানে ২০১৭ সালের আর্থিক দুর্বলতার পাশাপাশি অর্থপাচার, দারিদ্র্য ও সম্পদের বৈষম্য বেড়ে যাওয়া কথা বলেছে সংস্থাটি।
ওই পর্যালোচনায় কোন বিষয়টি আপত্তিকর সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দ্যাটস অল রাবিশ.. রাবিশ..রাবিশ’।
অর্থমন্ত্রী বলেন, শিগগিরই নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে। তবে এ েেত্র শর্ত থাকবে। কারণ শিামন্ত্রণালয়কে এমপিও নীতিমালা সংশোধন করতে বলা হয়েছিল কিন্তু তারা সেটা করেনি। এ জন্যই শর্ত দেওয়া হবে।’
কী কী শর্তে এমপিও দেওয়া হবে- এমন প্রশ্নে মুহিত বলেন, অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য কিছু অংশ বরাদ্দ থাকবে, বিভিন্ন উপকরণ কেনার জন্যও। এমপিওভুক্তি নিয়ে শিগগিরই সভা হবে। সেখানে আলোচনা হবে। এ মাসের মধ্যেই মিটিং হবে বলে জানান তিনি।
মুহিত বলেন, তারা (শিা মন্ত্রণালয়) জাতীয় শিানীতি গ্রহণ করেছে। শিানীতির সবটুকু আমার হাতে ড্রাফট করা, সেখানে তারা কিছু ইমপ্রুভ করে ওটা চূড়ান্ত করেছে। সেই পলিসি আমরা ফলো করছি।
এতদিন কী কারণে নতুন কোনো শিা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়নি- সে ব্যাখ্যাও দেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, এমপিওভুক্তিটা আটকে রেখেছি সেটার কারণটা হল- এমপিওভুক্তি ইজ অনলি বেনিফিশিয়াল টু টিচার্স। কিন্তু সেখানে আমি কিছু কনডিশনস দেব, যাতে পুরো সিস্টেমটা ম্যানেজ করা যায়।
একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক কে পাঁচজন শিককে কাস নিতে দেখার কথা জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘রাবিশ’ একটি ঘরের মধ্যে পাঁচটি কাসকে শিা দিচ্ছে, কোনোটাই মাথায় ঢোকে না। তাই গাছের নিচে হলেও শ্রেণিগুলো যেন আলাদা হয়, বিভিন্ন কাসের শিার্থীরা যেন আলাদা বসতে পারে- এটা শিা ব্যবস্থার খুবই গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। তাছাড়া শিকদের এমপিওভুক্তির দাবি যৌক্তিক হলেও সরকারের সমতার কারণে সব সময় তা দেওয়া যায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মুহিত বলেন, শিা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের একটি নীতিমালা রয়েছে। ওই নীতিমালা অনুযায়ী ধাপে ধাপে স্কুলের জাতীয়করণ হচ্ছে।

আজকের বাজার : এসএস / ওএফ/ ১৪ জানুয়ারি ২০১৮