এভারটনের কাছে পরাজিত হয়ে ইউরোপীয়ান আসর থেকে ছিটকে পড়ার শঙ্কায় আর্সেনাল

গোলরক্ষক বার্নাড লেনোর আত্মঘাতি গোলে এভারটনের কাছে প্রিমিয়ার লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কাল ১-০ গোলে পরাজিত হয়ে আগামী মৌসুমে ইউরোপীয়ান আসর থেকে ছিটকে পড়ার শঙ্কায় পড়েছে আর্সেনাল।
উভয় দলই আগামী মৌসুমে ইউরোপীয়ান প্রতিযোগিতায় জায়গা করে নেবার লক্ষ্যে কাল মাঠে নেমেছিল। তাতে সফল হয়েছে কার্লো আনচেলত্তির দল। গত সাত ম্যাচে এটাই এভারটনের প্রথম জয়। জার্মান গোলরক্ষক লেনো ৭৯ মিনিটে রিচারলিসনের ক্রস থেকে নিজেদের জালে বল জড়ালে টফিসদের জয় নিশ্চিত হয়।
ম্যাচ চলাকালীন এমিরেটস স্টেডিয়ামের বাইরে গানার্স মালিক স্ট্যান ক্রোয়েনকের বিরুদ্ধে প্রায় দুই হাজার দর্শক প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছে। বিতর্কিত ইউরোপীয়ান সুপার লিগে আর্সেনাল খেলতে রাজী হওয়ায় ক্রোয়েনকের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে গানার্স সমর্থকরা।
এই জয়ে ৩২ ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে এভারটন প্রিমিয়ার লিগ টেবিলের অষ্টম স্থানে রযছে। ১৯৯৬ সালের পর এটাই আর্সেনালের বিপক্ষে তাদের প্রথম লিগ জয়। শীর্ষ চারের অবস্থান থেকে তারা মাত তিন পয়েন্ট দুরে রযেছে। এদিকে নবম স্থানে থাকা আর্সেনাল শীর্ষ চারের থেকে ৯ পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে।
ম্যাচ শেষে আনচেলত্তি বিবিসিকে বলেছেন, ‘টেবিলের শীর্ষ দলগুলোর সাথে লড়াই চালিয়ে যাওয়া এই মুহূর্তে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজ আমরা ভাল খেলেছি। এই জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে যা পরবর্তী ম্যাচে কাজে আসবে। শেষ পর্যন্ত মনে হচ্ছে লিগে আমরা ফিরে এসেছি।’
ম্যাচে দু’দলই বেশ কিছু সুযোগ হাতছাড়া করেছে। এভারটনের গিলফি সিগার্ডসনের ৩০ গজ দূরত্বের ফ্রি-কিক ক্রসবারে লেগে ফেরত আসে। দ্বিতীয়ার্ধে ডি বক্সের ভিতর ডানি সেবালোসকে ফাউল করার পরে রিচারলিসেনর বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে রক্ষা পায় এভারটন। ভিএআর প্রযুক্তি অফসাইডের কারনে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেয়। আর্সেনাল বস মিকেল আর্তেতা বলেছেন, ‘ঐ ফাউলটি নিশ্চিত পেনাল্টি ছিল। এই সিদ্ধান্তগুলো কে বা কারা নেয় আমরা তাদের দেখিনা। কিন্তু এগুলো একটি দলের ফলাফলে দারুন প্রভাব ফেলে।’