টাঙ্গাইলের আলোচিত মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি) আমানুর রহমান খান রানার জামিন চার মাসের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার ৮ মে রানার জামিন মঞ্জুর করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। পাশাপাশি এ সময় পর্যন্ত শুনানি মুলতবি রাখা হয়েছে।
এর আগে ১৮ এপ্রিল অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিতের মেয়াদ বাড়িয়ে ৮ মে পর্যন্ত নির্ধারণ করেন।
বহুল আলোচিত এই হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত এমপি রানা গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে কারাগারে আছেন। বিচারিক আদালতে জামিন নামঞ্জুর হলে তিনি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। ওই আবেদনে গত ১৩ এপ্রিল হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ রুল জারিসহ রানাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। আদেশে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে জামিন দেওয়া হয়। রুলে আমানুর রহমানকে কেন স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এরপর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে টাঙ্গাইল শহরের কলেজপাড়া এলাকায় নিজ বাসার কাছে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহম্মেদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার হয়। এর তিন দিন পর ফারুকের স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে এ মামলায় এমপি রানা ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনকে আসামি করে গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর গত ৬ এপ্রিল আসামিদের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন রানা। তবে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি রানা ও তার তিন ভাইকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
আজকের বাজার: আরআর/ ০৮ মে ২০১৭