এরশাদের বার্তা…

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ বলেছেন, দেশের মানুষ আমার কাছ থেকে বার্তা চায়। আমার প্রথম বার্তা হলো- আমরা ইতিহাস সৃষ্টি করবো। আগামী নির্বাচনে, সুষ্ঠু নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করবো। তাই আমরা প্রস্তুত, আপনারা প্রস্তুত, দেশ প্রস্তুত।

আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, আজকের সমাবেশ মহা জনসুমদ্র। আমরা প্রমাণ করেছি, জাতীয় পার্টি আজ শক্তি অর্জন করেছে ক্ষমতায় আসার জন্য।

তিনি বলেন,  মানুষ কি চায়? শান্তি চায়। শান্তিতে ঘুমাতে চায়। আমরা ক্ষমতায় আসলে মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারবে। দেশে শান্তি আসবে।

এরশাদ বলেন, দুইটা দল বারবার ক্ষমতায় আসেছে। কিন্তু তারা জনগণকে কি দিয়েছে? জনগণকে অন্যায়, অত্যাচার ছাড়া কিছুই দিতে পারে নাই। জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় আসলে মানুষকে শান্তি দিবে।

নির্বাচন প্রসঙ্গে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে সরকার বাধ্য থাকবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করে জাতীয় পার্টি ইতিহাস গড়বে।

তিনি বলেন, নির্বাচন দিবে নির্বাচন কমিশন, এখানে আমাদের কোনো হাত নেই তবে নির্বাচন কমিশনকে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

সমাবেশে জাতীয় পার্টির (জাপা) সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ বলেছেন, আজকের শক্তি দেখে মনে হচ্ছে আমরা আর কারো ক্ষমতা যাওয়ার সিড়ি হবো না। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির ইতিহাস উন্নয়নের ইতিহাস। কোনো চাঁদাবাজির ইতিহাস নয়।

রওশন বলেন, এরশাদ গ্রাম বাংলার উন্নয়ন করেছেন। জনগণ পরিবর্তন চায়। জনগণ উন্নয়ন চায়। জনগণ শান্তি ফিরে চায়। জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় এসে জনগণের শান্তি ফিরিয়ে দেবে।

এর আগে সকাল সোয়া ১০টায় কোরআন তিলাওয়াত, গীতাপাঠ ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে এ সমাবেশ শুরু হয়। সকাল সোয়া ৯টার দিকে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করেন পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা স্লোগানে স্লোগানে তাকে স্বাগত জানান।

সমাবেশে দলটির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দীন বাবলু, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, সালমা ইসলাম, আব্দুস সাত্তার, বিরোধী দলের চিফ হুইফ তাজুল ইসলামসহ পার্টির ঊর্ধ্বতন নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে অংশ নিতে সকাল থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মিছিল নিয়ে প্রবেশ করে জাতীয় পার্টি ও সম্মিলিত জোটের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।

এস/