এলপিজির চাহিদা হবে ৩০ লাখ টন:ডব্লিউএলপিজিএ

 বাংলাদেশে চাহিদা বেড়েছে  জ্বালানি গ্যাস বা এলপিজি গ্যাসের । ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশে এই গ্যাসের চাহিদা বছরে ৩০ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে।আর এ তথ্য দিয়েছে বিশ্ব তরলীকৃত জ্বালানি গ্যাস সমিতি বা ডব্লিউএলপিজিএ।

গতকাল বুধবার ৫ম এশিয়া এলপিজি সামিট-২০১৮ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে ডব্লিউএলপিজিএ এর পরিচালক ডেভিড টেইলর এই তথ্য দেন।

তবে এই বিপুল পরিমাণ গ্যাসের চাহিদা মেটাতে এবং সকল ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশের আরও কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন দরকার বলে মনে করেন ডেভিড টেইলর।

তেলের উপজাতের মধ্যে বিউটেন ও প্রপেনের সংমিশ্রণে তৈরি করা হয় এলপিজি। এরপর এটি ট্যাংকারে সংরক্ষণ করে সিলিন্ডারে দিয়ে বাজারজাত করা হয়। আমদানির ক্ষেত্রে সরাসরি জাহাজে করে এই গ্যাস আনা হয়। এরপর ট্যাংকারে সংরক্ষণ করে বোতলজাত করে বিক্রি করা হয়।

সরকারিভাবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) কোম্পানিগুলো এলপিজি সরবরাহ করে। বেসরকারিভাবে বসুন্ধরা এলপিজি, এনার্জিপ্যাক, বেক্সিমকো, পেট্রগ্যাজ, যমুনা, টোটাল গ্যাস, ওরিয়ন, ওমেরা এবং বাংলাদেশ অক্সিজেন কোম্পানিসহ (বিওসি) ৪৪টি কোম্পানি বাজারে এলপিজি সরবরাহ করে। এছাড়া, আরও প্রায় একশ কোম্পানিকে এলপিজি সরবরাহের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে।

গত ১৬ জানুয়ারি থেকে  রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে  শুর হয় দুই দিনের পঞ্চম এশিয়া এলপিজি সামিট-২০১৮। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতার এ সম্মেলনে দেশ ও বিদেশের বিনিয়োগকারী, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। ওমেরা পেট্রোলিয়ামের সহযোগিতায় এ সম্মেলনে ২৫০ বিদেশি প্রতিনিধিসহ ৮০টি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিল। অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মান, কোরিয়া, চীন, তুরস্ক, ইতালি, মালয়েশিয়া ও ভারত।

আজকের বাজার:এসএস/১৮জানুয়ারি ২০১৮