বিশ্বের ৪৭টি স্বল্পোন্নত দেশের মধ্যে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি সবচেয়ে খারপ বলে উল্লেখ করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ বা সিপিডি।
আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি বাস্তবায়নে এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের বিকল্প নেই বলেও মনে করে সিপিডি।
বুধবার ২২ নভেম্বর রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বিদ্যুৎ বিতরণ পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এমনসব কথা বলেন গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখনও যারা বিদ্যুতের আওতায় আসেনি তাদের ৮০ শতাংশই গ্রামে বসবাস করেন। তাদের বাদ দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব না।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, গ্রামের মানুষের উন্নয়ন হলেই তা টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। তাদের পেছেন রেখে যথার্থ উন্নয়ন সম্ভব না।
তিনি বলেন, এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য শিগগিরই জ্বালানি সক্ষমতার অর্জনের জন্য দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
এসডিজি অর্জনে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতি বছর কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ হারে জ্বালানি সক্ষমতা বাড়াতে হবে বলেও মনে করেন ফাহমিদা।
আঙ্কটাডের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে বিশ্বব্যাংক এশিয়ার স্বল্পন্নোত দেশগুলোকে বিদ্যু ও জ্বালানী খাতে নিয়ে যে লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিল সেই লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে বিদ্যুৎখাতে নেপাল ও ভুটানের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার ক্ষেত্রে তারা প্রায় লক্ষ্যমাত্রায় পৌছেছে।
তিনি জানান, বাংলাদেশে প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় এসেছে। কিন্তু ২০৩০ সালের মধ্যে এলডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে বাংলাদেশকে প্রতিবছর কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ হারে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে হবে।
তবে প্রতিবেদনটি তৈরিতে ২০১৪ সালের বিদ্যুৎ প্রাপ্তির তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করা হয়েছে জানিয়ে ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, প্রতিবেদনে তিন বছর আগের ডাটা ব্যবহার করা হলেও বর্তমান পরিস্থিতির সাথে খুব বেশি অসামাঞ্জস্য হবে না।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে ২২ নভেম্বর ২০১৭