টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে অভ্যন্তরীণ সম্পদ কাজে লাগানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। এসময় তিনি বিদেশি সাহায্যের উপর নির্ভরশীল না হওয়ারও আহবান জানান।
রাজধানীর একটি হোটেলে গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর ইফেকটিভ ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশনের স্টিয়ারিং কমিটির চতুর্দশ সভায় ২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার তিনি এ আহবান জানান ।
সভাপতির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে ভাল করায় বাংলাদেশ বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। প্রবল ইচ্ছাশক্তির কারণেই বাংলাদেশের পক্ষে তা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বৈদেশিক সাহায্য নির্ভরশীল না হয়ে নিজের দেশের সম্পদের ব্যবহারে উদ্যোগী হতে হবে। মুহিত বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক কার হয়েছে তা অনেক উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং সমন্বিত।
আমাদের সীমিত অভিজ্ঞতা দিয়েও আমরা জানি, বৈদেশিক সাহায্য প্রাপ্তির প্রক্রিয়া বেশ জটিল। সে কারণে বিভিন্ন দেশ নিজেদের সম্পদ দিয়ে বেশ ভাল কাজ করেছে। এমনকি তারা এমডিজির প্রত্যাশিত লক্ষ্যের চেয়েও বেশি অগ্রগতি দেখাতে সক্ষম হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
উন্নয়নশীল দেশগুলোর উদ্দেশে অর্থমন্ত্রী বলেন,গতানুগতিক ধারার বাইরে এসে উদ্যোগী হতে হয়। এসময় তিনি নিজস্ব ইচ্ছাশক্তিকেও কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন।
সভায় জার্মানির ফেডারেল মিনিস্ট্রি অব ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের মহাপরিচালক ডোমিনিক শিলার বলেন, গ্লোবাল পার্টনার ও স্টিয়ারিং কমিটির মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্রে সমন্বয় তৈরি করার ক্ষেত্রে এই সভা ভূমিকা রাখবে।
উগান্ডার অর্থ, পরিকল্পনা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হারুনা ক্যাসোলো কিয়েউন বলেন, এসডিজি উচ্চাকাঙ্ক্ষী, তা ঠিক। সেই উচ্চাকাঙ্ক্ষা অর্জনে আমাদের উদ্যোগ নেওয়ার এখনই সময়।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে ২৪ অক্টোবর ২০১৭