ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস ১৬ মে। ১৯৭৬ সালের এই দিনে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে সারা দেশের লাখ লাখ মানুষ রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা ময়দান থেকে মরণ বাঁধ ফারাক্কা অভিমুখে লংমার্চে অংশ নেয়।
দেশের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে জনদুর্ভোগের জন্য তারা ওইদিন লংমার্চ করে ভারত সরকারের কাছে প্রতিবাদ জানায়। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহলের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেন মওলানা ভাসানী। তাই এ দিনটি আজও শোষণ, বৈষম্য আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং দাবি আদায়ের পক্ষে বঞ্চিতদের প্রেরণার উৎস হয়ে আছে।
উল্লেখ্য, ভারতে একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহারের উদ্দেশ্যে ১৯৬১ সালের ৩০শে জানুয়ারি ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ শুরু করে। আর ১৯৭০ সালে শেষ হয় বাঁধটির নির্মাণকাজ। তখন পরীক্ষামূলকভাবে ভারত কিছু কিছু পানি ছাড়ে। আর ১৯৭৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ফারাক্কা বাঁধের সকল গেট খুলে দেয় দেশটি, সেবারই মূলত চাহিদা অনুযায়ী পানি পেয়েছিল বাংলাদেশ। তারপর ১৯৭৬ সাল থেকে আজ পর্যন্ত চাহিদানুযায়ী পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিতই রয়ে গেছে বাংলাদেশ। অথচ ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের আগে, শীতকালের শুষ্ক মৌসুমেও পদ্মা নদী থেকে ৪০ হাজার কিউসেক পর্যন্ত পানি পেতো বাংলাদেশ।
এদিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় ফারাক্কা লংমার্চ দিবস পালনের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাপ। সোমবার,১৫ মে এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ ছিল ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদ। ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মওলানা ভাসানীর মতো নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে। এছাড়া ভাষানী অনুসারী পরিষদসহ আরো বেশকিছু সংগঠন দিবসটি পালনে নানা কর্মসূচী হাতে নিয়েছ।
ফারাক্কা লংমার্চ স্মরণে বাংলাদেশ ন্যাপ ২দিনব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করেছে। কর্মসূচিগুলো হচ্ছে- ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গঙ্গা-তিস্তাসহ অভিন্ন ৫৪টি নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের দাবিতে মানববন্ধন ও ২২শে মে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ন্যাপ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আলোচনা সভা।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে/ ১৬ মে ২০১৭