ঐতিহাসিক বৈঠকে দুই কোরিয়া

নিজ নিজ দেশের শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে ঐতিহাসিক বৈঠকে বসেছে দুই কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন এই বৈঠকে বসেছেন।

এই বৈঠকে তিনটি বিষয় প্রাধান্য পাবে বলে জানিয়েছে সিএনএন। এগুলো হলো, উত্তর কোরিয়ার অ-পারমাণবিকীকরণ, স্থায়ী শান্তির নিশ্চয়তা এবং দুই কোরিয়ার সম্পর্ক উন্নয়ন।

শুক্রবার সকালে দুই কোরিয়ার সীমান্তবর্তী বেসামরিক অঞ্চল পানমুনজমে বৈঠকটি শুরু হয়েছে।

সিএনএনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়,  ১৯৫০-৫৩ সালে দুই কোরিয়ার যুদ্ধের পর এই প্রথম উত্তর কোরিয়ার কোনো নেতা দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তে প্রবেশ করলেন। কিমকে সীমান্তের সামরিক সীমারেখায় স্বাগত জানান  দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন। এরপর অনার গার্ডের সদস্যরা দুই নেতাকে গার্ড অব অনার দিয়ে নিয়ে যান সীমান্ত গ্রাম পানমুনজমে।

উষ্ণ ও আন্তরিক পরিবেশে দুই দেশের শীর্ষ বৈঠকের উদ্বোধনীতে কিম বলেন, শান্তির পথে এগিয়ে যেতে এই সম্মেলনে খোলামেলা আলোচনা করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা করছেন। আমরা আজ সেই বিন্দু থেকে শুরু করলাম, যেখান থেকে শান্তি, সমৃদ্ধি আর আন্তকোরিয়া সম্পর্কের এক নতুন ইতিহাস লেখা হবে।

বিবিসির খবরে বলা হয়, ঐতিহাসিক এই বৈঠকে উত্তরের পরমাণবিক কর্মসূচি, পিয়ংইয়ং ও সিউলের সম্পর্কোন্নয়ন, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ছাড়াও সম্ভাব্য শান্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দুই কোরিয়ার এই শীর্ষ সম্মেলনের আগে গত শনিবার এক ঘোষণায় কিম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্রের কাজ সাময়িক বন্ধের ঘোষণা দেন।

মুন ও কিমের এই বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য শীর্ষ সম্মেলন নিয়েও আলোচনা হতে পারে।

মে মাসের শেষে বা জুনের শুরুতে ওই বৈঠকে কিম ও ট্রাম্পের মুখোমুখি সাক্ষাতের সম্ভাবনা আছে।

আজকের বাজার/ এমএইচ