ক্ষমতাসীন মহা জোটের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টিতে ভাঙ্গনের সুর বেজে উঠেছে। দলটির প্রেসিডেন্ট রাশেদ খান মেননকে নিয়েই যত সঙ্কট। বিগত নির্বাচন সম্পর্কে বরিশালে দেয়া বক্তব্যের জের ধরে সরকারের সঙ্গে ওয়ার্কার্স পার্টির দূরত্ব তৈরি হয়। মেনন বলেছিলেন, ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে জনগণ ভোট দেয়নি। এরপর সরকার সমর্র্থক ১৪ দলীয় জোট বক্তব্যের ব্যাখ্যা জানতে চায়। রোববার রাতে মেনন দুঃখ প্রকাশ করে চিঠি পাঠান। বলেন, তার বক্তব্য ভুলভাবে গণমাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে। সোমবার সকালে ১৪ দলের বৈঠকে আলোচনার পর জোটের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম জানান, মেননের দেয়া বক্তব্যে তারা সন্তুষ্ট।
রাশেদ খান মেননের সঙ্গে জোটের দুরত্ব কমে গেলেও পার্টির ভেতরে ঝড় উঠেছে। পলিট ব্যুরোর অন্যতম সদস্য বিমল বিশ্বাস ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন। পলিট ব্যুরোর দুই প্রভাবশালী সদস্য নূরুল হাসান ও ইকবাল কবির জাহিদ ভিন্নমত পোষণ করে বক্তব্য দিয়েছেন। আরো চারজন কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সদস্য একই পথ ধরেছেন। তারা বলেছেন, জনগণের দাবির মুখে ৩০শে ডিসেম্বরের প্রহসনের নির্বাচন সম্পর্কে রাশেদ খান মেনন যে সত্য উচ্চারণ করেছিলেন পরদিন তার ইউটার্ন পার্টি অনুসৃত বর্তমান রাজনীতিরই অনিবার্য ফল।
এক লিখিত বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, ওয়ার্কার্স পার্টি মার্কসবাদী-লেনিনবাদী আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে সুবিধাবাদী পার্টিতে পরিণত হয়েছে। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এখন রাজনৈতিক দুর্নীতির পাশাপাশি অর্থনৈতিক দুর্নীতিতেও আক্রান্ত। তাছাড়া আওয়ামী লীগের সঙ্গে স্থায়ী ঐক্যের যে নীতি গ্রহণ করেছে তাতে ওয়ার্কার্স পার্টি একটি দেউলিয়া পার্টিতে পরিণত হয়েছে। রাশেদ খান মেননের ডিগবাজির সমালোচনা করে পদত্যাগকারী নেতা বিমল বিশ্বাস মনে করেন, ওয়ার্কার্স পার্টিকে সুবিধাবাদ গ্রাস করেছে।
দলটির কংগ্রেস সামনে। ২রা নভেম্বর কংগ্রেস হওয়ার কথা রয়েছে। এই অবস্থায় অনৈক্যের সুর এখন প্রবল। পার্টির বেশির ভাগ নেতা মনে করেন, স্বাধীন ভূমিকা নিতে না পারলে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে দলটি।
সূত্র:ভিওএ
আজকের বাজার/লুৎফর রহমান