ওয়েব সিরিজের আপত্তিকর দৃশ্য ৭ দিনের মধ্যে সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

দেশের বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে পরিবেশিত সিনেমা এবং ওয়েব সিরিজে প্রদর্শিত অশ্লীল ও আপত্তিকর দৃশ্য আগামী সাতদিনের মধ্যে সরিয়ে ফেলতে বুধবার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ।

পরে তানভীর আহমেদ বলেন, ‘গত ৬ জুন বাংলাদেশি ওয়েব সিরিজ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট দেখি বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলে। দেখার পর ১৪ জুন বিবাদীদের একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশে কোনো ধরনের অগ্রগতি না দেখায় গত ১২ জুলাই জনস্বার্থে একটি রিট করি। সেটি শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন আদালত।’

তানভীর আহমেদ আরও বলেন, রিটের শুনানি নিয়ে আদালত আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে বিবাদীদের ওই অনৈতিক ও নিন্দনীয় আইনবহির্ভূত ভিডিও কনটেন্ট সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সাথে আগামী এক মাসের মধ্যে বিটিআরসিকে একটি রিপোর্ট দাখিল করতে বলা হয়েছে। রিপোর্টে বিভিন্ন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম থেকে তারা কীভাবে সরকারি রেভিনিউ কালেক্ট (রাজস্ব আয়) করেন (যেমন তারা করছেন নেটফ্লিক্সের ক্ষেত্রে) তা উল্লেখ করতে বলা হয়েছে।

গত ১৪ জুন পাঠানো আইনি নোাটিশে বলা হয়েছিল, উপযুক্ত পর্যবেক্ষণ বা নিয়ন্ত্রণ না থাকায় দেশীয় সিনেমা এবং ওয়েব সিরিজগুলোতে আপত্তিকর দৃশ্য দিন দিন বেড়েই চলেছে। সেসব দৃশ্য জনসমক্ষে তুলে ধরা হচ্ছে। সম্প্রতি বাংলাদেশে ভিডিও প্রোভাইডারদের অন্যতম প্লাটফর্ম বিং এবং ইউটিউবে ওয়েব সিরিজ ‘বুমেরাং’ এবং ‘আগস্ট ১৪’-তে আপত্তিকর দৃশ্য দেখা গেছে। এমনকি এসব ওয়েব সিরিজে সিগারেট বা অ্যালকোহলবিষয়ক দৃশ্য থাকার পরও সেক্ষেত্রে কোনোপ্রকার সতর্কতামূলক বাণী প্রচার করা হয়নি।

নোটিশে আরও বলা হয়, এসব ভিডিও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২ এবং ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট, ২০১৮ এর স্পষ্ট লঙ্ঘন, যা আমাদের দেশীয় সংস্কৃতি এবং সামাজিক নিয়মশৃঙ্খলার জন্যও হুমকিস্বরূপ। তাই অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে সিনেমা-ওয়েব সিরিজের আপত্তিকর ভিডিও বন্ধ এবং তা সরিয়ে ফেলা প্রয়োজন। ‘অশ্লীলতা, বেহায়াপনা এবং বেলেল্লাপনা’র দৃশ্য সরিয়ে সমাজের উঠতি বয়সীদের রক্ষার্থে জনস্বার্থে এ নোটিশ দেয়া হয়েছে জানিয়ে আইনজীবী তানভীর তখন বলেছিলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব দৃশ্য না সরালে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হবে।