গত কয়েকদিন ধরে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে ২৫ জুলাই মঙ্গলবার ভোররাত ৩টার দিকে পাহাড় ধসে ২ শিশুসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া কমপক্ষে আরও ৫ জন আহত হয়েছেন। কক্সবাজার শহর ও রামু উপজেলায় হতাহতের এসব ঘটনা ঘটে।

কক্সবাজার জেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেক এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, ভারী বৃষ্টির কারণেই পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিহতরা হলো- রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেইন্দা এলাকার জিয়াউর রহমানের মেয়ে সায়মা (৫), ছেলে জিহান (৭), সদর উপজেলাল চৌফলদণ্ডী ইউনিয়নের খামারপাড়ার নূরুল হকের ছেলে মোহাম্মদ শাহেদ (১৮) ও পিএমখালী ইউনিয়নের ধামনখালী এলাকার এরশাদ উল্লাহর ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৮)।

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মালেক বলেন, কক্সবাজার শহরের লাইট হাউজ এলাকার পাহাড় ধসে শাহেদের মৃত্যু হয়। সেখান থেকে আহত অবস্থায় আরও ৩ জনকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে চিকিৎসার সময় সাদ্দাম নামে একজনের মৃত্যু হয়।

চিকিৎসাধীন অন্য দুইজন হলো- উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের মরিচ্যা এলাকার দেলোয়ার হোসেন (২৫) ও নিহত সাদ্দামের বড় ভাই আরফাত হোসেনকে (৩০)।

আব্দুল মালেক বলেন, রামুর চেইন্দা এলাকার পাহাড় ধসে ঘুমন্ত অবস্থায় সায়মা ও জিহান নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়। ওই সময় মাটিচাপায় আহত হন তাদের বাবা জিয়াউর রহমান (৩৫) ও মা আনার কলি (২৯)। জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রীকে আহত অবস্থায় উদ্ধারের পর কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃষ্টিপাত সম্পর্কে কক্সবাজারের সহকারী আবহাওয়াবিদ এ.কে.এম. নাজমুল হক বলেন, গতকাল সোমবার দুপুর থেকে কক্সবাজারে থেমে থেমে ভারী বৃষ্টি শুরু হচ্ছে। গত রাতে অবিরাম ধারায় শুরু হয় বৃষ্টি। গতকাল সোমবার সকাল থেকে ২৫ জুলাই মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২০৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার ও আগামীকাল বুধবার চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। এতে পাহাড় ধসের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আজকের বাজার: এলকে/এলকে ২৫ জুলাই ২০১৭