জেলার টেকনাফে শুক্রবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে চার সন্দেহভাজন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, হোয়াইক্যং এলাকায় সকাল ৫টার দিকে পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই ‘মাদক ব্যবসায়ী’ মারা গেছেন।
নিহতরা হলেন- উপজেলার জালিয়াপাড়ার আবদুল জলিলের ছেলে নজির আহমদ (৩৩) ও নয়াপাড়ার হাজি জাকারিয়ার ছেলে গিয়াস উদ্দিন (২৪)।
ওসি প্রদীপ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে অভিযানে গেলে দুর্বৃত্তরা তাদের প্রতি গুলি চালায়, এতে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। পরে পুলিশ দুজনের লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় পুলিশের দুই উপ-পরিদর্শকসহ চার সদস্য আহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, চার রাউন্ড গুলি ও ছয় হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে।
আরেক ঘটনায় ভোর ৪টার দিকে উপজেলার খারাংখালী এলাকায় বিজিবির সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই সন্দেহভাজন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
বিজিবি-২ এর লেফটেন্যান্ট কর্নেল আসাদুজ্জামান জানান, বিপুল পরিমাণ ইয়াবা পাচারের খবর পেয়ে বিজিবির একটি দল ভোর ৪টার দিকে ওই এলাকায় অভিযান চালায়।
‘বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে চোরাকারবারীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করেন, এতে পাল্টাপাল্টি গুলি বিনিময় হয়। পরে সেখান থেকে দুই মাদক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়,’ দাবি করেন তিনি।
ঘটনাস্থল থেকে এক লাখ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আসাদুজ্জামান।
আজকের বাজার/এমএইচ