কঠোর সমালোচনা সত্ত্বেও প্যারিসে সৌদি যুবরাজ সালমানের সাথে ম্যাক্রোঁর বৈঠক

ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর আমন্ত্রণে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান প্যারিস সফর করছেন। বুধবার সালমান প্যারিস পৌঁছান।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে উভয়ের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
চার বছর আগে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে রিয়াদের এজেন্টদের দ্বারা হত্যার পর সালমানকে আমন্ত্রণ জানানো যথাযথ নয় বলে যে সমালোচনা চলছে তা উপেক্ষা করেই ম্যাক্রোঁ তাকে আতিথেয়তা দিচ্ছেন।
খাসোগিকে নৃশংসভাবে হত্যার পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমালোচনার তীব্র ঝড় ওঠে। নিজ দেশে একজন সংস্কারক হিসেবে পরিচিতি পেলেও বিশ্ব অঙ্গনে তিনি হত্যাকারি হিসেবেই বিবেচিত হন এবং একঘরে হয়ে পড়েন। কিন্তু চলতি মাসের প্রথম দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সালমানের সাথে সাক্ষাত এবং ম্যাক্রোঁর এ আমন্ত্রণের মধ্য দিয়ে সৌদি যুবরাজের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সরব হয়ে উঠার পথ সুগম হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
রাশিয়া ইউক্রেনে হামলার পর বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকট তীব্র হয়ে ওঠে। সৌদি আরব তেল সম্পদে সমৃদ্ধ, বিশ্ব বাজারে অস্ত্রের অন্যতম ক্রেতা এবং ইরানের কট্টর বিরোধী। এ সব কারনে আমেরিকাসহ পাশ্চাত্যের কাছে সৌদি আরবের ব্যাপক গুরুত্ব রয়েছে।
জ্বালানি নিয়ে আলোচনার উদ্দেশ্যেই সালমান ফ্রান্স সফর করছেন। এর আগে তিনি গ্রীস সফর করেন।
সালমান ভিন্ন মত একেবারেই সহ্য করেন না উল্লেখ করে অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল এগনেস কলামার্ড বলেন, এই সফরের কারনে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। কারণ, এটি আমাদের বিশ্বের জন্যে কী বার্তা নিয়ে আসছে। জামাল খাসোগি কিংবা তার মতো লোকদের জন্যেও কী বার্তা বহন করছে?
তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে ২০১৮ সালে জামাল খাসোসিকে হত্যার পর সালমান এই প্রথম ইউরোপ সফর করছেন। এ হত্যাকান্ডকে জাতিসংঘ বিচারবহির্ভূত হত্যা হিসেবে উল্লেখ করে এবং এ জন্যে সৌদি আরবকে দায়ী করে।
সালমান এ হত্যাকান্ডের অনুমোদন দিয়েছে বলে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সমূহও উল্লেখ করে। কিন্তু রিয়াদ এ অভিযোগ অস্বীকার করে।
কলামার্ড আরো বলেন, তেলের উর্ধ্বমুখী মূল্য নিয়ে উদ্বেগের মুখে মূল্যবোধ ধ্বংস করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে ২০২১ সালে ম্যাঁেক্রা সৌদি আরব সফর এবং সালামানের সাথে বৈঠকও করেন। তাও ওই সময়ে সমালোচিত হয়।