সদ্যবিদায়ী ২০১৬-১৭ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি আগের অর্থবছরের তুলনায় কমেছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সার্বিক মূল্যস্ফীতির পরিমাণ ছিল ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। গত অর্থবছরে সেটি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ। তবে বিদায়ী অর্থবছরের চতুর্থ প্রান্তিকে মূল্যস্ফীতি সার্বিকভাবে কিছুটা বেড়েছে।
১১ জুলাই মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল এসব তথ্য জানান।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী বিগত অর্থবছর খাদ্য মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ, যা তার আগের অর্থবছর ছিল ৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। সে তুলনায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। অন্যদিকে খাদ্য বহির্ভূত পণ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ, যা তার আগের অর্থবছরে ছিল ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এ হিসেবে আগের বছরের তুলনায় খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি অনেক কমেছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, গত ৩ মাসে (এপ্রিল -জুন পর্যন্ত) দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৭২ শতাংশ,যা তার আগের ৩ মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) ছিল ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ। এ হিসেবে গত তিন মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন,আগাম বন্যার কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় এমন হয়েছে। এছাড়া বাজেট দেওয়ার সময় মূল্যস্ফীতিতে কিছুটা প্রভাব পড়ে।
অন্যদিকে, গ্রামীণ এলাকায় গত তিন মাসে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং তার আগের ৩ মাসে ছিল ৫ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।এছাড়া শহর এলাকায় গত ৩ মাসে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ১৬ শতাংশ, যা তার আগের ৩ মাসে ছিল ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
আজকের বাজার:এলকে/ এলকে/ ১১ জুলাই ২০১৭