একটা সময় দেশের ক্রিকেট ছিল সরকারি অর্থের উপর নির্ভরশীল। ক্রিকেটারদের সাফল্য, বিসিবির আয়ের উন্নতি আর ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেটে সেই জোগান থেকে দায়মুক্তি মিলেছে। এখন আর অর্থের জন্য সরকারের কাছে হাত পাততে হয় না ক্রিকেট বোর্ডকে।
তবে ক্রিকেটাররা নিজেদের কর আদায় করে যাচ্ছেন সময়মতন। যে দলের হয়েই তারা খেলে থাকেন, বেতনের অংশ হাতে আসে মূলত করের অংশ কেটে রাখার পরই। তবে অবাক করা তথ্য, সেই করের রশিদই পান না দেশের ক্রিকেটাররা!
করের রশিদ না পাওয়ায় তাদের কর আদৌ যথাযথ জায়গায় পৌঁছেছে কি না, এটি নিশ্চিত করে বলতে পারেন না ক্রিকেটাররা। সেই সাথে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় রশিদ না থাকায় পোহাতে হয় ভোগান্তি।
এ প্রসঙ্গে জিয়াউর রহমান বলেন, ‘গতবার আমি চিটাগাং ভাইকিংসের হয়ে খেলেছি। ১৮ লাখ টাকা আমার পাওনা ছিল তবে তারা ২ লাখটাকা টাকা কেটে রেখে আমাকে ১৬ লাখ টাকা পরিশোধ করে। কিন্তু তারা আমাকে ট্যাক্স পরিশোধের কোনো রশিদ দেয়নি। আমিজানিও না তারা আমার ট্যাক্সের টাকা পরিশোধ করেছে কিনা। এমনকি এই ঘটনা ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগেও হয়। এখন পর্যন্তকোনো টুর্নামেন্টেই আমি ট্যাক্স প্রদানের রশিদ হাতে পাইনি।’
একই অভিযোগ অভিজ্ঞ স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকেরও। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিটি টুর্নামেন্ট শেষে যে আয় করি তার থেকে দলগুলো ট্যাক্সেরটাকা কেটে রাখে। কিন্তু তারা আমাদের কখনো ট্যাক্স প্রদানের রশিদ বা কোনো প্রমাণ দেন না। যে কারণে আমরা যখন আয়কর রিটার্নদিতে যাই তখন ঝামেলাতে পড়তে হয়।’
যদিও ভিন্ন কথা স্পিনার এনামুল হক জুনিয়রের। তার মতে, নিজ দায়িত্বে রশিদ সংগ্রহ করলেই পোহাতে হয় না ভোগান্তি- ‘আমি আমার নিজ দায়িত্বেট্যাক্স প্রদানের রশিদটি নিয়ে নেই। যে কারণে আমার কোনো সমস্যা এখনো হয়নি।’
এনামুলের সঙ্গে সুর মিলছে শাহরিয়ার নাফিসেরও। তারকা এই ক্রিকেটার বলেন, ‘আসলে বিসিএল ও এনসিএল শেষ হলে বিসিবির কাছ থেকেআমি রশিদ বুঝে পাই। আর ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ ও বিপিএলেও নিজ দায়িত্বে ট্যাক্সের রশিদটা সংগ্রহ করি। বিশেষ করে বিপিএলের সময়ফ্র্যাঞ্চাইজিদের কাছ থেকে ক্রিকেটারের উচিত রশিদটা বুঝে নেয়া।’
আজকের বাজার: সালি / ২৮ অক্টোবর ২০১৭