জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যসা বলেছেন, করোনা মহামারিকালেও দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখে চলমান উন্নয়ন-অগ্রগতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বে এক অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছে।
তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও দূরদর্শী নেতৃত্বেই এটা সম্ভব হয়েছে। তাঁর রাষ্ট্রনায়কোচিত সিদ্ধান্ত এবং তা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই এ সাফল্য এসেছে।
আজ ছিল রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনার চতুর্থ দিন। গত ১৮ জানুয়ারি বছরের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিন রাষ্ট্রপতি সংসদে ভাষণ দেন।
গত ১৯ জানুয়ারি চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। সরকারি দলের সদস্য উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ এ প্রস্তাব সমর্থন করেন।
আজ স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা উত্তর টেবিলে উপস্থাপন ও ৭১ বিধির নোটিশের কার্যক্রম স্থগিত এবং আইন প্রণয়ন কার্যক্রমের পর রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনা শুরু হয়।
আজ আলোচনায় অংশ নেন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সরকারি দলের এ, কে, এম শাহজাহান কামাল, দীপংকর তালুকদার এবং জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ।
আলোচনায় অংশ নিয়ে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ বিশ্বের অন্যতম উন্নত দেশে পরিণত হবে। এজন্য তাঁর নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তিনি তার মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকান্ড তুলে ধরে বলেন, গত এক যুগে এ খাতের ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। নতুন নতুন শিল্পকারখানা স্থাপনের মাধ্যমে কর্নসংস্থানের সুযোগ হয়েছে।
তিনি বলেন, বিশেষ করে এসএমই খাতে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি, প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়ে সহায়তার মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি করা হয়েছে। নতুন নতুন অর্থনৈতিক এলাকা তৈরি করায় বিদেশি বিনিয়োগ অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেন, এ এক যুগে দেশে আবাসন খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। পাশাপাশি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেন, ভাষণে রাষ্ট্রপতি উন্নত – সমৃদ্ধ দেশ গড়ার দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। পাশাপাশি বৈশ্বিক মহামারি সফলভাবে মোকাবেলা করে দেশ যে আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে তাও উল্লেখ করেন।
তারা সরকারের কৃষি, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ- জ্বালানি, খাদ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ সব খাতে ব্যাপক সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন, পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, কর্ণফুলি বঙ্গবন্ধু ট্যানেলসহ ২৪টি মেগা প্রকল্প সাফল্যের সাথে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব বাস্তবায়ন শেষ হলে দেশের অর্থনীতি বদলে যাবে।