করোনাভাইরাসের কারণে ২০১৯-২০ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১২৬ মিলিয়ন পাউন্ড।
এ কারনে ১১ শতাংশ কমে গত মৌসুমে ক্লাবের রাজস্ব আয় হয়েছে ৪৭৮.৪ মিলিয়ন পাউন্ড। যদিও এর মধ্যে দেরীতে খেলোয়াড় বিক্রির অর্থ যুক্ত করা হয়নি। বায়ার্ন মিউনিখে লেরয় সানের যাবার বিষয়টিও এখানে অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি।
এবারের মৌসুমে অবশ্য সিটি এই ক্ষতি পুষিয়ে নেবার আশা করছে। আর্থিক এই ক্ষতি ও একইসাথে মৌসুম বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার কারনে ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবছরকে একসাথে করে ক্লাব লাভ-ক্ষতি হিসাবের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এদিকে ক্লাব চেয়ারম্যান খালদুন আল মুবারক জানিয়েছেন ক্লাব তার শেয়ারহোল্ডারদের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সবদিক থেকেই এখনো শক্তিশালী অবস্থানেই আছে। দীর্ঘদিনের পথচলায় সিটি এখন আর শুধুমাত্র মূল আয়ের উপরই নির্ভরশীল নয়। বিশেষ করে এই করোনা মহামারীতে এই বিষয়টি সবদিক থেকেই সামনে চলে এসেছে।
মহামারীর কারনে ২০২০ সালের মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত প্রিমিয়ার লিগ মৌসুম বন্ধ ছিল। এরপর থেকেই মাঠে দর্শক প্রবেশের বিষয়টিও নিষিদ্ধই রয়েছে। ক্লাবের প্রধান নির্বাহী ফেরান সোরাইনো বলেছেন, ‘নি:সন্দেহে ২০১৯-২০ মৌসুম আমাদের বাস্তব চিত্র নয়। এই সময়ে খেলোয়াড় কেনাবেচাও অনেক দেরীতে হয়েছে। বেশ কিছু ম্যাচ ৩০ জুনের পরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর এই ম্যাচগুলোর রাজস্ব ২০২০-২১ অর্থবছরে গণনা করা হবে। দুই মৌসুম মিলিয়ে ২০২০-২১ মৌসুমের পর কোভিডের কারনে সংঘটিত বিষয়াদীর পরিপূর্ণ চেহারা পাওয়া যাবে।’
নগর প্রতিবেশী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের থেকে ১৪ পয়েন্টের সুস্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে সিটিজেনরা প্রিমিয়ার লিগ টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে। এবারের মৌসুমে এখনো পর্যন্ত তারা চারটি শিরোপা ঘরে তোলার দৌড়ে ভালভাব্ইে টিকে রয়েছে।