করোনায় চট্টগ্রামে গতকাল ৫ জন সংক্রমিত, দ্বিতীয় দিনের মতো কোন মৃত্যু নেই

করোনায় মৃত্যশূন্য চট্টগ্রামে দ্বিতীয় দিনের মতো গ্রামে কোনো আক্রান্ত মিলেনি। এ সময় শহরের নতুন ৫ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়ে। আক্রান্তের হার ০ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
করোনা সংক্রান্ত জেলার হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার রিপোর্ট থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর নয় ল্যাবে চট্টগ্রামের ১ হাজার ১১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। রোববারের মতো উপজেলায় গতকালও নতুন কোনো রোগি পাওয়া যায়নি। জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১ লাখ ২ হাজার ২৩৪ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭৩ হাজার ৯৭৪ জন ও গ্রামের ২৮ হাজার ২৬০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কোনো রোগি মারা যাননি। ফলে জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩২৫ জনই রয়েছে। এর মধ্যে ৭২৩ জন শহরের ও ৬০২ জন গ্রামের।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৩৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয় ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে। এখানে শহরের ২ জন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ৯২ জনের নমুনা পরীক্ষায় একজনের শরীরেও ভাইরাসের উপস্থিতি ছিল না। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ৬৪ টি নমুনার মধ্যে শহরের একটিতে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১৬ জনের নমুনায় শহরের একজন পজিটিভ পাওয়া যায়। তিন জনের এন্টিজেন টেস্টে নতুন সংক্রমণ চিহ্নিত হয়নি।
বেসরকারি ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৩৪৯ নমুনা পরীক্ষায় শহরের একটিতে ভাইরাস থাকার প্রমাণ মেলে। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১৭৬, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৭, এপিক হেলথ কেয়ারে ১৬, ল্যাব এইডে ১ এবং মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ১৩ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে। এদিন আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরি (আরটিআরএল) ও ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি এবং কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে চট্টগ্রামে নমুনা যায়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ০ দশমিক ৫৩ শতাংশ, সিভাসু’তে ১ দশমিক ৫৬, চবি’তে ৬ দশমিক ২৫, শেভরনে ০ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং চমেকহা, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, এন্টিজেন টেস্ট, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার, ল্যাব এইড ও মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।