করোনায় চট্টগ্রামে ৭ জন আক্রান্ত

করোনায় চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তের হার ০ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল বুধবার ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ও নগরীর দশটি ল্যাবে চট্টগ্রামের ১ হাজার ৪৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন ৭ ভাইরাসবাহকের মধ্যে শহরের ৪ জন এবং তিন উপজেলার ৩ জন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ২ হাজার ২৪৫ জনে পৌঁছেছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৭৩ হাজার ৯৮২ জন শহরের ও ২৮ হাজার ২৬৩ জন গ্রামের। উপজেলা পর্যায়ে গতকাল শনাক্ত ৩ জনের মধ্যে হাটহাজারী, বাঁশখালী ও সাতকানিয়ায় একজন করে রয়েছেন।
গতকাল করোনায় শহর ও গ্রামে কোনো রোগির মৃত্যু হয়নি। জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩২৫ জনই রয়েছে। এর মধ্যে ৭২৩ জন শহরের ও ৬০২ জন গ্রামের।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে গ্রামের একজন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৮৫ নমুনায় শহর ও গ্রামের একটি করে রেজাল্ট পজিটিভ আসে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৬৯ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ২ জনের শরীরে ভাইরাস পাওয়া যায়। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৫৫ জনের নমুনায় শহর ও গ্রামের একজন করে শনাক্ত হন।
এ ছাড়া বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে ৬, বেসরকারি ল্যাবরেটরির মধ্যে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩৫৮, শেভরনে ৩২১, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১৭৬, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৮, এপিক হেলথ কেয়ারে ২৬ এবং মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ২১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সবগুলোরই নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। চট্টগ্রামের ১২টি নমুনা এদিন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হলে পরীক্ষায় একটিতেও করোনার জীবাণু মিলেনি।
এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর অপর বেসরকারি পরীক্ষা কেন্দ্র ল্যাব এইডে কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডি’তে ০ দশমিক ২৮, চমেকে ২ দশমিক ৩৫, চবি’তে ২ দশমিক ৯০ ও সিভাসু’তে ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং আরটিআরএল, শেভরনে, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ০ শতাংশ।