জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৩০৪ জনে।
এছাড়া প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ২২ লাখ ৩২ হাজার ৭৪৫ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩১ লাখেরও বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার ২৪১ জনের। তাদের পর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ লাখ ৫৫ হাজার ৭৭৯ জন এবং মারা গেছেন ৬৯ হাজার ১৮৪ জন।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৭ লাখ ৬৭ হাজার ২৯৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজারেরও বেশি মানুষের।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি:
মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে আরও ৪১ জনের মৃত্যু এবং নতুন করে ৩ হাজার ৩৬০ জনের শরীরে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, দেশে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে ৭৬টি ল্যাবে। এসব ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ৮৬২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৬৩২টি নমুনা। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৯ লাখ ০৪ হাজার ৭৮৪টি।
এখন দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৩৮ জনে। আর মোট শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ৭৫ হাজার ৪৯৪ জন।
এদিকে, করোনাভাইরাস থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৭০৬ জন। এ নিয়ে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি থেকে দেশে মোট সুস্থ হলেন ৮৪ হাজার ৫৪৪ জন।
নতুন যে ৪১ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২৯ এবং নারী ১২ জন। করোনায় এ পর্যন্ত ১ হাজার ৭৭০ জন পুরুষ এবং ৪৬৮ জন নারীর মৃত্যু হয়েছে। পুরুষ মৃত্যুর হার ৭৯.০৯ শতাংশ এবং নারী মৃত্যুর হার ২০.৯১ শতাংশ।