করোনাভাইরাস মহামারীতে আক্রান্ত উহানে প্রথমবারের মতো পরিদর্শনে গিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। প্রাণঘাতী রোগটি নিয়ন্ত্রণে আনার যে দাবি দেশটির সরকার করছে, এই সফর সেটারই বড় নজির বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত জানুয়ারিতে হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানের সামুদ্রিক খাবারের একটি বাজার থেকে কোভিড-১৯ নামের ভাইরাসটি প্রথম ছড়িয়েছে বলে দাবি করা হয়।- খবর এএফপি ও ব্লুমবার্গ
মঙ্গলবার ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়েছে। চীনে নতুন করে ১৭জন মারা গেছেন বলে এএফপির খবরে বলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত শতাধিক দেশে কোভিড-১৯ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার খবর জানা গেছে।
গত জানুয়ারি থেকেই নজিরবিহীন কোয়ারেন্টাইনে অচল করে দেয়া হয়েছে উহান শহর ও হুবেই প্রদেশের বাদবাকি অঞ্চলকে। নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নজিরবিহীনভাবে কমতে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ জন। যেটা গত ১৮ জানুয়ারির পর থেকে সবচেয়ে কম। তবে উহানে কমিউনিস্ট পার্টির নেতার ব্যক্তিগত সফর আগে থেকেই ভাবা হয়েছিল।
মঙ্গলবার সকালে শহরটিতে অঘোষিত সফর করেন শি জিনপিং। বার্তা সংস্থা শিনহুয়া বলছে, একটি উড়োজাহাজে করে উহানে আসেন তিনি। অঞ্চলটিতে মহামারী নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কাজ পর্যবেক্ষণ করেন প্রেসিডেন্ট শি।
এসময় তিনি চিকিৎসাকর্মী, সামরিক কর্মকর্তা, কমিউনিটি কর্মী, পুলিশ, রোগী ও স্থানীয় অধিবাসীদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে খবরে জানা গেছে।
চীনে মাও জেদংয়ের পরেই সবচেয়ে প্রভাবশালী এই নেতার দৈননিন্দ সফর রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে ফলাও প্রচার করা হয়।
কিন্তু করোনাভাইরাস সংকট দেখা দেয়ার পর থেকে তিনি গণমাধ্যমের নজরের বাইরে চলে যান। মহামারী পর্যবেক্ষণের জন্য প্রধানমন্ত্রী লে কেকিয়াংকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
ঘরোয়াভাবেই ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় তার সরকারের আত্মবিশ্বাসের বিষয়টি সামনে নিয়ে আসতেই তিনি এই সফর করেন।
এর আগে মহামারী আক্রান্ত উহান সফর করেন লে কেকিয়াং ও একজন উপপ্রধানমন্ত্রী। মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শি জিনপিংয়ের ভূমিকা তুলে ধরে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। গত মাসের এক ভাষণে তিনি ভাইরাস মোকাবেলায় দিক নির্দেশনা দিতে দেখা গেছে তাকে।
আজকের বাজার/এ.এ