চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্থাপন করা হয়েছে নতুন থার্মাল ইমেজ ডিটেকশন স্ক্যানার। আজ সকালে উড়োজাহাজে নতুন ২টি স্ক্যানার শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছে। এরপর দুপুরের পর শাহ আমানত বিমান বন্দরের জন্য বরাদ্দ দেয়া স্ক্যানারটি সচল করে কারিগরি টিম। অন্যদিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের জন্য পাঠানো থার্মাল স্ক্যানারটি পুনরায় ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়। এত দিন ইনফ্রারেড হ্যান্ডহেল্ড থার্মোমিটার দিয়ে জ্বর মাপা হচ্ছিল শাহ আমানত বিমান বন্দরে। সম্প্রতি বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হবার পর নড়ে বসেছে চট্টগ্রাম বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ। এখন থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে আসা যাত্রীরা থার্মাল স্ক্যানারে ভেতর দিয়ে হেঁটে গেলেই শরীরে জ্বর আছে কিনা শনাক্ত করা যাবে। জেলা সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বী বলেন, প্রথমে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরের জন্য দুটি স্ক্যানার দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সমুদ্রবন্দরেরটি পরে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। আগে বিমানবন্দরকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে করোনার লক্ষণ আছে, এ রকম যাত্রী শনাক্ত সহজ হবে। বিমানবন্দরের সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. শরীফ বলেন, নতুন থার্মাল স্ক্যানারটি ফিটিংসের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের থার্মাল ইমেজ ডিটেকশন স্ক্যানারেই করোনার লক্ষণ আছে কিনা দেখা হচ্ছে।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার এবিএম সারওয়ার-ই-জামান বলেন, চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে দেশি-বিদেশি ফ্লাইটে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৪ হাজার আন্তর্জাতিক ও আভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রী চলাচল করে থাকে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক যাত্রী প্রায় দেড় হাজারের মতো। যদিও শাহ আমানতে চীন থেকে সরাসরি কোনো ফ্লাইট আসে না। তবে চীনের অনেক যাত্রী দুবাই, আবুধাবি, দোহা, মাসকাট ও ভারত হয়ে চট্টগ্রামে আসেন। চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোতাহার হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম ঘিরে বড় উন্নয়ন প্রকল্পে প্রচুর চীনা নাগরিক কর্মরত থাকায় তারা যাতায়াত করেন। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে গতকাল সোমবার পর্যন্ত ৪১ হাজার ৬৩১ জন আন্তর্জাতিক রুটের যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। আর চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর দিয়ে ৪ হাজার ৪৩৫ যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে বলে তিনি জানান। তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান