করোনা বাড়ছে চট্টগ্রামে

চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণ ধীরে ধীরে বেড়েই চলছে। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৭৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণের হার ১৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এ সময় শহর ও গ্রামে কোনো করোনা রোগির মৃত্যু হয়নি।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্ট থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, নগরীর দশ ল্যাবরেটরি ও এন্টিজেন টেস্টে গতকাল চট্টগ্রামের ৪১২ জনের নমুনায় নতুন ৭৪ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। আক্রান্তদের মধ্যে শহরের ৫৯ ও সাত উপজেলার ১৪ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে পটিয়ায় সর্বোচ্চ ৭ জন, সাতকানিয়া ও বোয়ালখালীতে ২ জন করে এবং রাউজান, সন্দ্বীপ, বাঁশখালী ও আনোয়ারায় একজন করে রয়েছেন।
জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৮৮৮ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে ৯৩ হাজার ১৮৫ শহরের ও ৩৪ হাজার ৭০৩ জন গ্রামের।
গতকাল করোনায় শহর ও গ্রামে করোনায় কেউ মৃত্যুবরণ করেনি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৫ জন রয়েছে। এতে শহরের ৭৩৫ ও গ্রামের ৬৩০ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি ৭৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে। এখানে শহরের ৬ ও গ্রামের ৩টির রিপোর্ট পজিটিভ হয়।
ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৬ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৩৬ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ১১ ও গ্রামের ১ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৬ নমুনায় শহরের একটিতে সংক্রমণের প্রমাণ মিলেছে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৬০ জনের এন্টিজেন টেস্টে গ্রামের ৯ জন আক্রান্ত বলে জানানো হয়।
নগরীর বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৫২টি নমুনা পরীক্ষা করে শহরের ১৬ টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। শেভরনে ৩৬টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৫টিতে জীবাণুর অস্তিত্ব মিলে। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ১৯ জনের নমুনায় শহরের একজন পজিটিভ হন। মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ২ জনের দেহে ভাইরাস পাওয়া যায়। এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ৩৬ টি নমুনা পরীক্ষা করলে শহরের ৭টিতে জীবাণুর উপস্থিতি শনাক্ত হয়। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১৩ জন নমুনা জমা দিলে পরীক্ষায় শহর ও গ্রামের একজন করে আক্রান্ত বলে জানানো হয়। এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ৮ নমুনায় শহরের ৩ ও গ্রামের একটিতে করোনাভাইরাস থাকার প্রমাণ মিলেছে।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, ল্যাব এইড ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনাও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ১২ দশমিক ১৬ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ১০ দশমিক ১৭, চমেকেহা’য় ৩৩ দশমিক ৩৩, আরটিআরএলে ১৬ দশমিক ৬৬, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩০ দশমিক ৭৭, শেভরনে ১৩ দশমিক ৮৯, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৫ দশমিক ২৬, মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ১৫ দশমিক ৩৮, এপিক হেলথ কেয়ারে ১৯ দশমিক ৪৪, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ১৫ দশমিক ৩৮ এবং এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ৫০ শতাংশ।
অন্যদিকে, এন্টিজেন টেস্টে ১৫ শতাংশ সংক্রমণ নির্ণিত হয়।