কলম্বিয়ায় দুই গেরিলা গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে আরো ১৩ জন নিহত

কলম্বিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে দুটি গেরিলা গোষ্ঠীর মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষে, যেখানে ১০ দিনে প্রায় ৫০ হাজার লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
এরআগে সপ্তাহের শেষে এক সংঘর্ষে ১৩ জন নিহত হয়। বোগোটা থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

কর্তৃপক্ষ সোমবার জানায়, কোকেন-চাষে সমৃদ্ধ ক্যাটাটুম্বো অঞ্চলে সংঘর্ষে মোট নিশ্চিত নিহতের সংখ্যা ৫৪ জনে পৌঁছেছে।

কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় গণনার ভিত্তিতে গত সপ্তাহে  সেখানে ৮০ জন নিহত হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল- যা বর্তমান নিশ্চিত সংখ্যার চেয়ে কম।

সরকার বামপন্থী গেরিলাদের বিরুদ্ধে জরুরি অবস্থা ও ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করেছে।  একটি ভঙ্গুর জাতীয় শান্তি প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার হুমকিস্বরূপ এই সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে প্রায় ১০ হাজার সৈন্য মোতায়েন করেছে সরকার।

১৬ জানুয়ারি থেকে মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যে, কলম্বিয়ার দক্ষিণের প্রত্যন্ত আমাজন জঙ্গল থেকে ভেনিজুয়েলার পাহাড়ি উত্তর-পূর্ব সীমান্ত পর্যন্ত তিনটি বিভাগে রক্তপাতের খবর পাওয়া গেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইএলএন গেরিলা গোষ্ঠীর সঙ্গে বর্তমানে বিলুপ্ত ফার্ক গেরিলা বাহিনীর সাবেক সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত একটি প্রতিদ্বন্দ্বী সংগঠনের মধ্যে একটি সংঘর্ষের কারণে ক্যাটাটুম্বোতে সহিংসতার তীব্রতা ঘটেছে।

২০১৬ সালের শান্তি চুক্তির অধীনে ফার্ক গেরিলা বাহিনীকে নিরস্ত্রীকরণ করা হয়।

প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো সোমবার রাতে লাভজনক কোকা পাচারের পথ নিয়ন্ত্রণ ও অঞ্চলটির যে অংশে ইএলএন ও ফার্কের সঙ্গে অপর ভিন্ন মতাবলম্বী গোষ্ঠীর পাচারের প্রতিযোগিতা থাকা অংশটি সফর করবেন।

ক্যাটাটুম্বোর অন্তর্ভূক্ত নর্তে দে সান্তান্দার বিভাগের গভর্নরের কার্যালয়, জানিয়েছে, সোমবার  নিহত ১৩ জনের মধ্যে প্রত্যেকেই ভিন্ন মতাবলম্বী বলে মনে হচ্ছে।

গভর্নরের কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী সর্বশেষ সংঘর্ষে ১১ জন আহত ও ১২ জন নিখোঁজ হয়েছে।

চলমান এই সহিংসতায় বাস্তুচ্যুতির  সংখ্যা ইতোমধ্যেই ৪৮ হাজারে পৌঁছেছে।