কাকরাইলে মা-ছেলে হত্যা মামলায় স্বামীসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

রাজধানীর কাকরাইলে মা-ছেলে হত্যা মামলার রায়ে নিহতের স্বামী আবদুল করিমসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত অপর দু’জন হলো, করিমের তৃতীয় স্ত্রী শারমিন মুক্তা ও তার ভাই শ্যালক আল-আমিন ওরফে জনি।

ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল ইসলাম আজ রোববার এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে বিশ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁশলি সালাউদ্দিন হাওলাদার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রায়ের দ্রুত কার্যকর প্রত্যাশা করেন। এরআগে ১০ জানুয়ারি ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল ইসলাম রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এদিন ধার্য করেন।

২০১৭ সালের ১ নভেম্বর সন্ধ্যায় কাকরাইলের আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম রোডের ৭৯/এ নম্বর বাড়িতে শামসুন্নাহার (৪৫) ও তার ছেলে শাওনকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

এ ঘটনার পরদিন ২ নভেম্বর শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী বাদি হয়ে রমনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় শামসুন্নাহারের স্বামী আবদুল করিম, তার তৃতীয় স্ত্রী শারমীন মুক্তা, শ্যালক (মুক্তার ভাই) জনিসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়। আবদুল করিম পুরান ঢাকার শ্যামবাজারের মসলা ব্যবসায়ি।

২০১৮ সালের ১৬ জুলাই ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলমের আদালতে আবদুল করিমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলী হোসেন। অপর দু’জন হলেন, করিমের তৃতীয় স্ত্রী শারমিন মুক্তা ও তার ভাই আল-আমিন ওরফে জনি।

এরপর ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল ইসলাম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় চার্জশিটভুক্ত ২২ জনের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ১৭ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান