কাতারের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি করবে যুক্তরাষ্ট্র

কাতারের কাছে ৩০ কোটি ডলারের দূর নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রয়ে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার এ সংক্রান্ত একটি চুক্তিপত্র অনুমোদন করেছে দেশটি।

দেশটির আমির তামিম বিন হামাদ আল-থানির সঙ্গে হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের প্রাক্কালে ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির এ অনুমোদন দেয়া হলো। খবর এএফপি’র।

উপসাগরীয় এ দেশ হচ্ছে আমেরিকার দীর্ঘদিনের সামরিক মিত্র এবং মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বিমান ঘাঁটি রয়েছে দেশটিতে। কিন্তু তাদের প্রতিবেশী আরব দেশগুলোর সাথে বিরোধের জের ধরে ওয়াশিংটন ও দোহা’র সম্পর্ক মেঘাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশ সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব-আমিরাতের নেতৃত্বে কাতারের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো গত বছর দোহার বিরুদ্ধে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক অবরোধ আরোপ করে। এক্ষেত্রে ট্রাম্প প্রথমদিকে রিয়াদের পক্ষে অবস্থান নেন।

সৌদি আরব ও আমিরাতের কর্মকর্তারা ইরানের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখায় এবং বিভিন্ন জঙ্গি গ্রুপকে অর্থায়ন করায় থানির সরকারকে দায়ী করে। তবে কাতার তাদের বিরুদ্ধে আনীত এ অভিযোগ প্রত্যাখান করেছে। ওয়াশিংটন কাতারের সাথে প্রতিবেশী আরব দেশগুলোর বিরোধের মধ্যস্থতা করতে চায়।

সোমবার কাতারের আমির মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিসের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। মঙ্গলবার ট্রাম্পের সঙ্গে তার সাক্ষাতের কথা রয়েছে। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের যুক্তরাষ্ট্রে তিন সপ্তাহের সফল সফরের পর তিনি এ সফরে যান।

এ সফরে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর কাতারের কাছে ৫ হাজার শক্তিশালী ওয়্যারহেডসহ ৫ হাজার অ্যাডভান্স প্রিসিসিওন কিল ওয়েপন সিস্টেম (এপিকেডব্লিউএস) বিক্রয় অনুমোদন করেছে।

সংস্থা জানায়, পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে কাতার একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ।

উল্লেখ্য, সৌদি যুবরাজের যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে ওয়াশিংটন রিয়াদের কাছে ২শ’ কোটি ডলারের বেশী মূল্যের অস্ত্র বিক্রি নিশ্চিত করে।

আরএম/