আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে ১০ জন সংসদ সদস্যের (এমপি) একটি প্রতিনিধি দল ফেব্রুয়ারিতে ভারত সফরে যাচ্ছেন।
শুক্রবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শীর্ষ বাংলা দৈনিক আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ-আরএসএস থেকে পাঠানো বিজেপি নেতা রাম মাধবের সঙ্গে বৈঠকের পরে কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গেও প্রতিনিধি দলটির আলোচনায় বসার কথা রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বছর শেষে বাংলাদেশে ভোট। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে থেকে ‘এই দৌত্য তাৎপর্যপূর্ণ’ বলেই মনে করছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রের বরাত দিয়ে এতে বলা হয়, এই সফরে একই সঙ্গে দু’টি উদ্দেশ্য পূরণ করতে চাইছেন আওয়ালী লীগ শীর্ষ নেতৃত্ব। রাজনৈতিকভাবে বিজেপির কাছাকাছি পৌঁছতে চেষ্টা করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল। রাম মাধব বিজেপির প্রভাবশালী নেতা। আর তিস্তা চুক্তির মতো বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের বকেয়া বিষয়গুলো দ্রুত সম্পাদন করার একটা মরিয়া চেষ্টা ভোটের আগে করছেন শেখ হাসিনা।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, আরএসএস’র মাধ্যমে মোদি সরকারের কাছে বার্তা পৌঁছানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন বিএনপি-জামায়াতে ইসলামী জোটের নেত্রী খালেদা জিয়া। সংখ্যালঘু তাসও খেলা হচ্ছে বিএনপির পক্ষ থেকে।
কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার আরও জানায়, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করে হেফাজত ইসলামের মতো সংগঠনকে গুরুত্ব দিতে হচ্ছে আওয়ামী লীগকে- এ কথা ঠিকই। ভোটের দিকে তাকিয়ে ‘নরম ইসলাম’-পন্থাকে গুরুত্ব দিয়ে চলাও হচ্ছে কিছু ক্ষেত্রে।
কিন্তু ভারতের বর্তমান শাসক দল হিন্দুত্ববাদী হওয়া সত্ত্বেও, ভোটের আগে মোদি সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করে পাওনা আদায় করাটা হাসিনা সরকারের বাধ্যবাধকতার মধ্যে পড়ছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
আজকের বাজার: সালি / ২৬ জানুয়ারি ২০১৮