কানাডার প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবের কাছে ক্ষমা চাইবেন না

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বুধবার সৌদি আরবে মানবাধিকার কর্মীদের ছেড়ে দেয়ার আহ্বান জানানোর জন্য দেশটির কাছে ক্ষমা চাইবেন না বলে জানিয়েছেন। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।

এদিকে সৌদি আরব অটোয়ার বিরুদ্ধে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছে।

সোমবার থেকেই দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা চলছে। রিয়াদ কানাডার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার ও কানাডা থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নেয়। এছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশটি কানাডার সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন এবং বিনিয়োগ স্থগিত করেছে।

রিয়াদ আরো জানিয়েছে, তারা কানাডায় অধ্যয়নরত সৌদি ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি বাতিল করে অন্যান্য দেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের ক্রেডিট ট্রান্সফারের ঘোষণা দেয়। সৌদি সরকার তাদের রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইন্স সৌদিয়ার টরেন্টোগামী সকল ফ্লাইট বাতিল করে।

অটোয়া প্রকাশ্যে সৌদি আরবে মানবাধিকার কর্মীদের ওপর দমন অভিযানের কঠোর নিন্দা জানানোয় রিয়াদ কানাডার ওপর প্রচ- ক্ষুব্ধ হয়ে এসব পদক্ষেপ নেয়। কিন্তু বুধবার ট্রুডো তার সিদ্ধান্তে অনড় থাকার ঘোষণা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, মানবাধিকারের ব্যাপারে কানাডা সব সময়ই একান্তে ও প্রকাশ্যে দৃঢ় ও স্পষ্ট ভাষায় কথা বলে।

তিনি আরও বলেন, আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে চাই না।

ট্রুডো বলেন, রিয়াদ মানবাধিকার পরিস্থিতির অনেক উন্নতি করেছে বলেও অটোয়া মনে করছে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার এই সংকট নিরসনে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের সঙ্গে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবেইরের দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কূটনৈতিক আলোচনা চলছে।

বুধবার সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, সৌদি আরব কানাডায় সকল চিকিৎসা সেবা নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। সরকার সকল সৌদি রোগীদের অন্যান্য দেশে স্থানান্তরের জন্য কাজ করছে।

ফিনান্সিয়াল টাইমস জানায়, সৌদি আরবের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কানাডার সঙ্গে সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধের জন্য ব্যবস্থাপকদের নির্দেশ দিয়েছে। তবে সৌদি আরবের অর্থনীতির সুরক্ষার স্বার্থে দেশটির জ্বালানী মন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ্ বলেন, এই বিরোধের কারণে বৃহৎ তেল কোম্পানি আর্মাকোর কানাডিয়ান মক্কেলদের ওপর প্রভাব পড়বে না।