কানাডায় আটকে পড়া ১৯৫ বাংলাদেশী যাত্রী নিয়ে দেশের উদ্দেশে রওনা

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে কানাডায় আটকে পড়া ১৯৫ জন বাংলাদেশী যাত্রী নিয়ে একটি বিশেষ চার্টার্ড ফ্লাইট বুধবার রাতে (কানাডার সময়) টরন্টো থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।
কানাডায় বাংলাদেশ মিশন থেকে আজ এখানে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজানুর রহমান প্রবাসী বাংলাদেশী ও বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীদের টরেন্টো বিমানবন্দরে বিদায় জানান। এ সময় টরেন্টোতে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল নাঈম উদ্দিন আহমেদও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
কাতার এয়ারওয়েজের চার্টার্ড ফ্লাইটটি দোহায় এক ঘন্টা যাত্রাবিরতি শেষে শুক্রবার (বাংলাদেশ সময়) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
ভ্রমণকারী যাত্রীদের মধ্যে বেশিরভাগ কানাডার বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা বাংলাদেশী শিক্ষার্থী, পর্যটক এবং ব্যবসায় ভিসায় কানাডায় যাওয়া বাংলাদেশী নাগরিক এবং কিছু প্রবাসী বাংলাদেশী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
কানাডায় বাংলাদেশের হাই কমিশনের সাথে সমন্বয় করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় করোনা ভাইরাস মহামারীর প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী লকডাউনের মধ্যে সেখানে আটকে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের অনুরোধে চার্টার্ড বিমানের ব্যবস্থা করেছিল।
বাংলাদেশ ৩০ মে পর্যন্ত টানা ষষ্ঠবারের জন্য ফ্লাইট পরিচালনার চলমান নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়িয়েছে।
সরকার এ পর্যন্ত ভারত, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিভিন্ন অন্যান্য দেশ থেকে আটকে পড়া বাংলাদেশীদের প্রত্যাবাসন করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, ভুটান, মায়ানমার এবং বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশগুলোপও এখান থেকে তাদের নাগরিকদের প্রত্যাবাসনের জন্য বিমানের স্থগিতাদেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি বিশেষ চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনা করে।