আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের পর তুর্কী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে কাবুল বিনানবন্দর কিভাবে সুরক্ষিত রাখা যায় তার ‘সুযোগ’ নিয়ে ওয়াশিংটন ও আঙ্কারা একমত হয়েছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোগান শুক্রবার এ কথা জানান।
আগামী মাসে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের পর কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা দিতে তুরস্ক সম্মত হয়েছে। এটি ওয়াশিংটন ও আঙ্কারার মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নের একটি উদাহরণ হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে।
এরদোগান বলেন, বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে তুরস্ক ও মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, আমেরিকা ও ন্যাটোর সাথে আলোচনাকালে মিশনের সুযোগ এবং আমরা কি গ্রহণ করবো কি করবো না তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ব্রাসেলসে জুন মাসে অনুষ্ঠিত ন্যাটো সম্মেলনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে এরদোগানের বৈঠকের প্রেক্ষিতে তুরস্ক এ উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে এসেছে।
এদিকে হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালনে তুরস্কের স্পষ্ট অঙ্গীকারের প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
উল্লেখ্য, পশ্চিমা কুটনীতিক ও ত্রাণ কর্মীরা মূলত কাবুল বিমানবন্দর ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের পর এটি তালেবানের হাতে পড়ে কিনা তা নিয়ে মূল উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে ন্যাটো চাচ্ছিল দ্রুতই এর সমাধান হোক।
এদিকে আফগানিস্তানে ২০০১ সাল থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী তুরস্ক দেশটিতে তার শত শত সামরিক সদস্য মোতায়েন করেছে।