কারিগরি শিক্ষায় যুগান্তকারী পরিবর্তন হয়েছে: নাহিদ

সরকার কারিগরি শিক্ষার প্রসারে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, গত নয় বছরে কারিগরি শিক্ষায় যুগান্তকারী পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে মোট শিক্ষার্থীর শতকরা ১৪ ভাগের বেশি কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করছে।

রোববার রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড প্রণীত ‘বিল্ড স্কিল বাংলাদেশ ফর ইমার্জিং ডেভেলপ ন্যাশন’ শীর্ষক গবেষণা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কারিগরি শিক্ষার প্রতি শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের আকৃষ্ট করা, মান উন্নত করা, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং বিনিয়োগকারী ও শিল্প-মালিকদের সম্পৃক্ত করাসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ শিক্ষার মান উন্নয়নে অনেক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, উন্নত ও আধুনিক বাংলাদেশ গড়তে হলে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। এজন্য কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসারের বিকল্প নেই। বাস্তব কর্মজীবনে প্রয়োগ করা যায় এমন আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষতা অর্জন করতে হবে। বিনিয়োগকারী বা চাকরিদাতাদের চাহিদা অনুযায়ী জনবল তৈরি করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, দেশে ৪৯টি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট রয়েছে। আরো ২৩টি ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে। বেসরকারি ইনস্টিটিউট রয়েছে প্রায় ৪৫০টি। এছাড়া বেসরকারি পর্যায়ে প্রায় ৭ হাজার কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সরকার এসব প্রতিষ্ঠানকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে এবং সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, কারিগরি বিষয়ের শিক্ষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ৪২০ জন শিক্ষককে সিঙ্গাপুরের নানিয়ান পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। আরও এক হাজার একশ’ ৫ জন শিক্ষক এ পতিষ্ঠানে প্রশিক্ষন নিচ্ছেন। এছাড়া চীনের গুয়াংজু পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ৫৮১ জন শিক্ষক প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। সেখানে আরো এক হাজার শিক্ষককে প্রশিক্ষণে পাঠানো হবে।

আইডিইবি’র সভাপতি একেএমএ হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী, অতিরিক্ত সচিব এ কে এম জাকির হোসেন ভূঞা, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. সফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন) এবং আইডিইবি’র সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান।

গবেষণাপত্রের উপর উপস্থাপনা পেশ করেন যশোর টিএসসি’র অধ্যক্ষ ড. সৈয়দ আব্দুল আজিজ। গবেষণাপত্রে বাংলাদেশের শ্রমশক্তির উৎপাদন দক্ষতার তুলনামুলক বিশ্লেষণ, দক্ষ শ্রমশক্তি উন্নয়নের কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা ইত্যাদি বিষয়ে বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

রাসেল/