কাল পর্দা উঠছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসরের

বাছাই পর্ব দিয়ে কাল থেকে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। এই আসরটি ভারতের মাটিতে হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারনে এটি এখন ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে পুরো বিশ্বকাপের আয়োজক ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডই (বিসিসিআই) থাকছে।
সর্বশেষ ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। এরপর ২০১৮ সালে হবার কথা ছিলো। কিন্তু ২০১৯ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য ২০১৮ সালের আসরটি বাতিল করা হয়। আর সূচি অনুযায়ী ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হবার কথা থাকলেও করোনার স্থগিত হয়ে যায়। পাঁচ বছর পর ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সপ্তম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
এবারের আসরে মোট ১৬ দল অংশ নিচ্ছে। বাছাই পর্বের দু’টি গ্রুপে রয়েছে আটটি দল। আর সুপার টুয়েলভে দু’গ্রুপে আছে আটটি দল।
বাছাই পর্বে ‘এ’ গ্রুপে খেলবে শ্রীলংকা, আয়ারল্যান্ড, নামিবিয়া ও নেদারল্যান্ডস। বাংলাদেশ রয়েছে ‘বি’ গ্রুপে। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ওমান, পাপুয়া নিউগিনি ও স্কটল্যান্ড।
সুুপার টুয়েলভে গ্রুপ-১এ আছে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গ্রুপ-২এ আছে ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তান।
বাছাই পর্বের দু’গ্রুপ থেকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দু’টি করে দল সুপার টুয়েলভে খেলার টিকিট পাবে। যেখানে আছে আটটি দল। ফলে মোট ১২ দল নিয়ে হবে সুপার টুয়েলভ। সুপার-১২তে খেলতে হলে বাছাই পর্ব পেরোতে হবে বাংলাদেশকে।
বাছাই পর্ব থেকে ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও ‘বি’ গ্রুপের রানার্স-আপ দল খেলবে গ্রুপ-১এ। বাছাই পর্বের ‘এ’ গ্রুপের রানার্স-আপ ও ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল খেলবে গ্রুপ-২এ।
বিশ্বকাপের প্রথম দিন রয়েছে দু’টি ম্যাচ। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪ টায় লড়বে স্বাগতিক ওমান ও পাপুয়া নিউ গিনি। আর বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় লড়বে বাংলাদেশ ও স্কটল্যান্ড।
২০১৬ সালে প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছিলো ওমান। ঐ আসরে ৩ ম্যাচ খেলে ১টি করে জয়-হার ও ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছিলো তাদের। ঐ আসরে প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছিলো তারা। আর এবারই প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলছে পাপুয়া নিউগিনি। আর এবারই প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মুখোমুখি হচ্ছে ওমান ও পাপুয়া নিউগিনি।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ৩৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে ওমান। জয় ১৬টি, হার ১৯টি ও ম্যাচ পরিত্যক্ত ১টি। অপরদিকে, ২৮ টি-টোয়েন্টিতে ১৭টিতে জয় ও ১০টি হার এবং ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয় তাদের।
এদিকে, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ১১৩ ম্যাচে অংশ নিয়ে ৪১ ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। ৭০ ম্যাচে হেরেছে তারা। দু’টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। ৭০টি টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা আছে স্কটল্যান্ডের। যেখানে ৩১টিতে জয় ও ৩৫টি হার তাদের। ১টি টাই ও ৩টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।
আগামী ২৩ অক্টোবর থেকে শুরু হবে বিশ্বকাপের মূল পর্ব বা সুপার টুয়েলভ। ৮ নভেম্বর শেষ হবে সুপার টুয়েলভের লড়াই।
সুপার টুয়েলভের দুই গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের সেরা চার দল সেমিফাইনালের টিকিট পাবে। ১০ ও ১১ নভেম্বর হবে দু’টি সেমিফাইনাল। প্রথম সেমি হবে আবু ধাবিতে, দ্বিতীয়টি হবে দুবাইয়ে।
১৪ নভেম্বর দুবাইয়ে হবে ফাইনাল। দুই সেমিফাইনালের দুই বিজয়ী দল ফাইনাল খেলবে। ফাইনালের জন্য রিজার্ভ-ডে রাখা হয়েছে।
বিশ্বকাপের আগের ছয় আসরে সর্বোচ্চ দু’বার চ্যাম্পিয়ন হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। একবার করে শিরোপা জিতে ভারত-পাকিস্তান-শ্রীলংকা-ইংল্যান্ড।