ট্রাইব্যুনালের কিছু প্রসিকিউটর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির মিটিংয়ে গিয়ে অসদাচারণ করেছেন। জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসেইন সাঈদীর আপিলের রায়ের কিছু অংশে প্রসিকিউটরদের নিয়ে করা মন্তব্য বাদ দেওয়ার আবেদন করলে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এই মন্তব্য করেন।
সোমবার ১৫ মে সাঈদীর রিভিউতে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের বক্তব্য উপস্থাপনের পর আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন আবেদনটি করেন। আবেদনের বিষয়ে এই আইনজীবীর বক্তব্য উপস্থাপনকালে প্রধান বিচারপতি এ মন্তব্য করেন।তিনি বলেন, কিছু নন-প্রাকটিসিং ল-ইয়ার প্রসিকিউটর হয়েছেন। কিছু প্রসিকিউর ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির মিটিংয়েও যায়। যাদের (নির্মূল কমিটির) পলিটিক্যাল এজেন্ডা রয়েছে। তারা কিন্তু মিসকন্ডাক্ট (অসদাচারণ) করছেন। এরা পাবলিক প্রসিকিউটরের পজিশন বুঝে না।
তবে আদালত রায়ে প্রসিকিউটরদের বিষয়ে থাকা কিছু মন্তব্য বাদ দেওয়ার আবেদনের কিছু অংশ মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে আমৃত্যু কারাদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে সাঈদীর এবং মৃত্যুদণ্ড চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা দুটি রিভিউ আবেদনই খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে ৫ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই রায় দেন। অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।
এর আগে রবিবার সাঈদীর রিভিউ আবেদনের শুনানি শুরু হয়। সোমবার বেলা ১১টার দিকে সেই আবেদনের শুনানি শেষ হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডাদেশের সাজা কমিয়ে তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
আপিল বিভাগের এই রায়ের পর ২০১৬ সালের ১২ জানুয়ারি সাঈদীর সর্বোচ্চ শাস্তি (মৃত্যুদণ্ড) চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করে। অন্যদিকে রাষ্ট্রেপক্ষের আবেদনের পাঁচ দিন পর (১৭ জানুয়ারি) শাস্তি থেকে খালাস চেয়ে রিভিউ আবেদন করেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে/ ১৫ মে ২০১৭