কিমের সম্পদ বাজেয়াপ্তের প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের

উত্তর কোরিয়ার ওপর নতুন অবরোধ আরোপ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। তেল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি এবার দেশটির প্রেসিডেন্ট কিম জং উন এর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবও ইতোমধ্যে জাতিসংঘে পেশ করেছে তারা। বিবিসি জানিয়েছে, সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার ষষ্ঠ পারমাণবিক বোমার পরীক্ষার প্রেক্ষিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রস্তাব পেশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে উত্তর কোরিয়ার ওপর নতুন করে যেকোনো ধরনের অবরোধ বা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে রাশিয়া ও চীন নেতিবাচক অবস্থানে থাকবে বলে খবরে বলা হয়েছে।

এর আগে, গত আগস্টে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ পিয়ংইয়ংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জোরদারে মার্কিন খসড়া প্রস্তাবের বিষয়ে সায় দেয়। যার ফলে দেশটির কয়লা এবং লোহা রপ্তানি খাত ১০০ কোটি ডলার ক্ষতির মুখে পড়ে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো থাকা স্বত্বেও চীন সেবার এ প্রস্তাবের পক্ষেই ভোট দিয়েছিল। এবছরের শুরুর দিকে তারা পিয়ংইয়ংকে চাপ দিতে স্থগিত করে কয়লা আমদানি।

ওই খসড়া প্রস্তাব পাশ হবার পর জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি বলেন, এই ব্যবস্থাগুলো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধের জন্য পিয়ংইয়ংয়ের ওপর চাপ তৈরি করবে। এর আগে বিভিন্ন অবরোধ আরোপ করেও উত্তর কোরিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখা যায়নি। নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তের আগে পিয়ংইয়ং একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, তারা তাদের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার বৃদ্ধি করা অব্যাহত রাখবে।

সে ধারাবিকতায় গত জুলাই মাসে উত্তর কোরিয়া দুইটি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় এবং দাবী করে তাদের সেইসব ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম। আগস্টের শুরুর দিকে আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পরে উত্তর কোরিয়ায় সামরিক শক্তি প্রয়োগের হুমকি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি বলেন প্রয়োজনে উত্তর কোরিয়ায় সামরিক শক্তি ব্যবহার করা হবে।

এ প্রসঙ্গে নিকি হ্যালি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরোধ ব্যবস্থার অন্যতম হলো প্রয়োজনমতো সেনাবাহিনী ব্যবহার। যদি আর কোনো উপায় না থাকে, তাহলে আমরা সেনাবাহিনী ব্যবহার করব।”

আজকের বাজার : এমএম / ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭