কিয়েভে রাশিয়ার ‘কামিকাজি ড্রোন’ হামলা : ইউক্রেন

রাশিয়া সোমবার ভোরে কিয়েভে ‘কামিকাজে ড্রোন’ হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের দপ্তর এ কথা জানিয়েছে।
এসব ড্রোন হামলাকে তারা প্রায় আট মাস ধরে চলা এ যুদ্ধের একটি হতাশামূলক কর্মকা- হিসেবে বর্ণনা করেছে। এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধে ইতোমধ্যে হাজারো মানুষ প্রাণ হারিয়েছে বলে দাবি করা হয়। খবর এএফপি’র।
বার্তা সংস্থা এএফপি’র ফটোগ্রাফারের তোলা বিভিন্ন ছবিতে ড্রোনগুলোকে কিয়েভের আকাশের একেবারে নিচ দিয়ে উড়ে যেতে দেখা গেছে। এ সময় পুলিশ মাটি থেকে ড্রোনগুলোকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। অন্য ছবিতে নগরীজুড়ে বিভিন্ন বিষ্ফোরণের ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে।
ইউক্রেনের রাজধানীতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার একেবারে এক সপ্তাহ পর সেখানে এসব বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেল।
স্থানীয় সময় সকাল ৬ টা ২৩ মিনিট থেকে ৬ টা ৫৮ মিনিটের মধ্যে (গ্রিনিচ মান সময় ০৩৩৫ ও ০৩৫৮ টা) তিনটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। প্রথম বিস্ফোরণের একেবারে আগ মুহূর্তে সাইরেন বাজানো হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া পোস্টে প্রেসিডেন্টের প্রধান স্টাফ আন্দ্রি ইয়ারমাক বলেন, ‘ইউক্রেন রাজধানীতে কামিকাজে ড্রোন হামলা চালানো হয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘রুশ বাহিনী মনে করছে এ ধরনের হামলা তাদেরকে সহায়তা করবে। প্রকৃতপক্ষে এতে তাদের হতাশা ফুটে উঠেছে।’
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে ‘আমাদের যতদ্রুত সম্ভব আরো বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন। আকাশসীমা রক্ষায় এবং শত্রু পক্ষকে ধ্বংস করতে আমাদের আরো আরো অস্ত্র দরকার।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ক্লিৎসচকো বলেন, এসব ড্রোন হামলায় রাজধানীর মধ্যাঞ্চলীয় শেভচেনকিভস্কি জেলার অনেক স্থানে আগুন ধরে যায় এবং বেশকিছু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার জন্য সতর্ক সংকেত বাজানো হয়।
গত ১০ অক্টোবর কিয়েভ ও ইউক্রেনের অন্যান্য নগরী লক্ষ্য করে রাশিয়া একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে। বিগত কয়েক মাসের মধ্যে এটি ছিল মস্কোর সবচেয়ে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা।
এসব ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ১৯ জন নিহত ও ১০৫ জন আহত হয়। এতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠে।
১১ অক্টোবর ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলে জ্বালানি স্থাপনা লক্ষ্য করে মস্কো আবারো হামলা চালায়।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বলেন, মস্কোর অন্তর্ভুক্ত ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সাথে রাশিয়ার সংযোগ স্থাপনকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার প্রতিশোধ নিতে এসব হামলা চালানো হয়।
পুতিন শুক্রবার সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এক্ষেত্রে ইউক্রেনের ওপর ব্যাপক হামলা চালানোর আর প্রয়োজন নেই।