কুমিল্লার ৯ জাদুঘর স্থাপনের কাজ চলছে

জেলায় পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে নয়টি জাদুঘর স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে। জাদুঘরগুলো চালু হলে কুমিল্লার পর্যটন শিল্পে নতুন দিগন্তের সৃষ্টি হবে। এতে দেশের সমৃদ্ধ অতীত দেশ-বিদেশে উপস্থাপনের পাশাপাশি বাড়বে সরকারের রাজস্ব আয়। এ ৯টি জাদুঘরের মধ্যে তিনটি হবে স্মৃতি জাদুঘর ও বাকী ছয়টি উন্মুক্ত জাদুঘর। স্মৃতি স্মারক জাদুঘরগুলোতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির স্মৃতি স্মারক স্থান পাবে। সকলের জন্য উন্মুক্ত এ জাদুঘরগুলোতে পর্যটক ও দর্শকরা টিকিট কেটে দর্শন করতে পারবেন। এর আগে, ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ৯টি জাদুঘর স্থাপন বিষয়ে কুমিল্লা কার্যালয় থেকে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়। এগুলোর মধ্যে-লাকসাম নওয়াব ফয়জুন্নেছার বসত বাড়ি, কুমিল্লা শচীন দেব বর্মণের বাড়ি ও কুমিল্লা নগরীর ধর্মসাগরের উত্তর পাড়ে রাণী কুঠিকে স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে নির্মাণ করা হবে। উন্মুক্ত জাদুঘরগুলো হলো- কুমিল্লা কোটবাড়ির রুপবান মুড়া বিহার, ইটাখোলা বিহার, লতিকোট বিহার, বুড়িচংয়ের সাহেব বাজারের নিকট রাণী ময়নামতির প্রসাদ, কুমিল্লা সদর উপজেলার জগন্নাথপুরের সতের রত্ন মন্দির ও কুমিল্লার লালমাই এলাকার চন্ডীমুড়া মন্দির।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কুমিল্লা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা কোটবাড়ি এলাকায় শালবন বিহার ও ময়নামতি জাদুঘর এবং বেসরকারি বিনোদন কেন্দ্রে বছরে ৪০ লাখের মতো দর্শনার্থী আসে। কুমিল্লায় আরও ৯টি জাদুঘর চালু হলে এখানে ৮০ লাখের ওপর দর্শনার্থী আসবে। এতে বাড়বে সরকারের রাজস্ব আয়। সাংস্কৃতিক ও পর্যটন সংগঠন ঐতিহ্য কুমিল্লার পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল বলেন, কুমিল্লা অঞ্চল প্রত্ন সম্পদে ভরপুর। কুমিল্লায় ৯ জাদুঘর নির্মাণ হলে কুমিল্লা অঞ্চলে পর্যটনের ব্যাপক বিকাশ ঘটবে। হোটেল-মোটেল এবং রেস্তরাঁ ব্যবসায় আরও প্রসার ঘটবে। চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কুমিল্লায় অবস্থিত কার্যালয়ের আঞ্চলিক পরিচালক ড. আতাউর রহমান বলেন, আমরা ৯টি জাদুঘর স্থাপন নিয়ে কুমিল্লা কার্যালয় থেকে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। তার মধ্যে লাকসামের নওয়াব ফয়জুন্নেছা বসত বাড়ির কাজ চলছে, শচীন দেব বর্মণের বাড়ির সংস্কার কাজও অনেকাংশ হয়েছে। রুপবান মুড়া বিহার ও ইটাখোলা বিহারের টিকিট কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সবগুলো জাদুঘর চালু হলে কুমিল্লায় পর্যটনের ব্যাপক বিকাশ হবে। সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়বে। কুমিল্লায় প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব বাড়বে। তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান