কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কংশনগর এলাকায় বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক ডাকাত নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় জেলা ডিবির ওসিসহ ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
নিহতের নাম আবদুল হালিম (২৮)। হালিম ওই উপজেলার বাজেবাহেরচর গ্রামের মফিজুল ইসলাম মাবুর ছেলে।
আহতরা হচ্ছেন, ওসি নাসির উদ্দিন মৃধা, কনস্টেবল আবদুল্লাহ ও সাইফুল ইসলাম।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল-মামুন ও তানভীর সালেহীন ইমন, ডিবির ওসি নাসির উদ্দিন মৃধাসহ জেলা ডিবির পৃথক ৩টি টিম বুধবার দিবাগত রাতে জেলার বুড়িচং উপজেলা এলাকায় ডাকাতি প্রতিরোধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় তারা জানতে পারেন, ওই উপজেলার কংশনগর এলাকার একটি ইটের ভাটার সামনে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে ১৪-১৫ জনের সশস্ত্র ডাকাত দল সংঘবদ্ধ হয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। পরে পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় ডাকাতরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ এলোপাতারি গুলিবর্ষণ করলে ওসি নাসির উদ্দিন মৃধা, কনস্টেবল আবদুল্লাহ ও সাইফুল ইসলাম জখম হন। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে ৪৭ রাউন্ড শর্টগানের পাল্টা গুলি বর্ষণ করে। এতে আবদুল হালিম নামে এক ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত আরও দুই ডাকত জাকির হোসেন (৩৬) ও লিমন সরকারকে (২৫) গ্রেফতার করে পুলিশ।
ঘটনাস্থল থেকে ১টি রিভলবার, ১ রাউন্ড গুলি, ২টি ধারালো ছুরি, রামদা, রড ও ৪টি মুখোশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, হালিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৪টি ও গ্রেফতারকৃত ডাকাত জাকিরের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা রয়েছে।
এই ঘটনায় ডিবির এসআই সহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করেন।
আজকের বাজার/একেএ