কুষ্টিয়ায় খেজুরের রস সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা।

শীতের সকালে মাঠ ঘাট সাদা কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায়। শিশিরে ভেজা মাঠের ঘাস , গাছের পাতা সব থরথর করে কেঁপে ওঠে উত্তরের হাওয়ায়। কুয়াশা ভেদ করে অবিরাম সূর্য যখন জ্বলে তখন প্রকৃতি ভিন্ন রুপ ধারণ করে। শীত এলেই গ্রামের ঘরে ঘরে শুরু হয় হরেক রকম পিঠা পুলির তৈরি আয়োজন। খেজুর গুড় দিয়ে তৈরি পিঠা পায়েস তো বাঙালির রসনা বিলাসের র্শীষে। আসল খেজুর গুড়ের স্বাদ ও গন্ধ তুলনাহীন। কুষ্টিয়ার খেজুরের গুড়ের খ্যাতি ও চাহিদা প্রচুর। ভোরের সূর্য উঠার আগেই কুষ্টিয়ার গাছিরা গাছ থেকে রসের হাড়ি নামিয়ে রস সংগ্রহ করে বিক্রি ও মাটির চুলায় জাল দিয়ে গুড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
জেলার মিরপুর উপজেলার গাছি রুবেল হোসেন আজকের বাজারকে বলেন,শীত বাড়ার সাথে সাথে খেজুরের রসের ব্যাপক চাহিদা বেড়ে গেছে। একটা খেজুরের গাছ থেকে সাধারণত ৩ থেকে ৪ লিটার রস সংগ্রহ করা যায়। রস সংগ্রহ করে যা বিক্রি করি তা দিয়ে ভালভাবে জীবন যাপন করছি।

পাবনা থেকে আসা গাছি কামরুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রতি বছর শীতের সময় খেজুর গাছ কাটতে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলাতে এসে গাছ লিজ নিয়ে রস সংগ্রহ করি। আমরা বিকালে খেজুর গাছের সাদা অংশ পরিষ্কার করে ছোট –বড় মাটির করস বেঁধে ভলিভাবে ঢেকে রাখি রসের জন্য । পরের দিন সকালে সূর্য উঠার আগেই রস সংগ্রহ করে বিক্রি ও রস দিয়ে পাটালি ও গুড় তৈরি করে স্থানীয় বাজার ছাড়াও ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করে থাকি। এতে অর্র্থিক ভাবে আমরা অনেক লাভবান হচ্ছি।

জেলায় খেজুরের রস ও গুড় উৎপাদন বাড়াতে গাছিরা প্রশিক্ষণসহ দীর্ঘ মেয়াদি নানান কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. হায়াত মাহমুদ।

রফিকুজ্জামান সিজার, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি