কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তাসহ সবকটি নদ-নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী, রাজিবপুর, নাগেশ্বরী ও সদর উপজেলার ৩০টি ইউনিয়নের ২ শতাধিক গ্রাম। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে এসব এলাকার দেড় লক্ষাধিক মানুষ। বন্যাকবলিত বেশির ভাগ মানুষ গত ৪দিন ধরে পানিবন্দী থাকায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটে পড়েছে।

নিম্নাঞ্চলের পথ-ঘাট ও ঘর বাড়ি তলিয়ে থাকায় দুর্ভোগ বেড়েছে তাদের। বন্ধ রয়েছে জেলার শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান। এখন পর্যন্ত বন্যার্তদের মাঝে সরকারি ও বেসরকারিভাবে কোন ত্রাণ তৎপরতা শুরু হয়নি। এদিকে ত্রাণ সহায়তা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বন্যা দুর্গতরা।

জেলা ত্রাণ শাখা সূত্রে জানা গেছে, বন্যার্তদের জন্য ১০৫ মেট্রিক টন চাল ও ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান বলেছেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে যেখানে যতটুকু প্রয়োজন ত্রাণসহায়তা অব্যাহত রাখতে।

সিভিল সার্জন ডা. এসএম আমিনুল ইসলাম জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে ৮৮টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। যারা বন্যার্ত মানুষের জন্য কাজ করছে।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আজকের বাজার:এলকে/ এলকে/ ১০ জুলাই ২০১৭