‘কৃষি জমি বাঁচাতে চায় সরকার’

দেশের আবাদি, অনাবাদি, পতিত জমি বাঁচাতে চায় সরকার। সর্বোপরি দেশের কৃষিজমি সুরক্ষায় সরকার সকল ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করছে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

বুধবার সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশের দুর্যোগপ্রবণ গ্রামীণ এলাকার বাড়িঘর নির্মাণ সংক্রান্ত প্রমিত নির্দেশনার প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ নির্দেশনার মোড়ক উন্মোচন করেন।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ২০২০ সালের মধ্যে জমির উপরিভাগের মাটি থেকে ইট তৈরি সম্পূর্ণ বন্ধ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষিজমিতে শিল্পকারখানা স্থাপন এবং বাড়িঘর নির্মাণ বন্ধ করতে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এইচবিআরআই) ইটের বিকল্প হিসেবে বালি ও পলিমাটির ব্লক নির্মাণ করেছে। এর ব্যবহার বাড়াতে হবে। ইমারত নির্মাণ বিধিমালায় এইচবিআরআই উদ্ভাবিত ব্লক ও অন্যান্য গুলোকে নির্মাণ উপকরণ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই কৃষিজমিতে বাড়িঘর নির্মাণ করছে। অনেকেই কৃষিজমিতে শিল্পকারখানা স্থাপন করছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষতে দেশ খাদ্যসংকটে পড়বে। কৃষিজমিতে বাড়িঘর নির্মাণের পরিবর্তে পৈত্রিক ভিটায় পাঁচতলা বা ছয়তলা ভবন নির্মাণ করে একই জমিতে অনেক পরিবারের বসবাস করা সম্ভব।

তিনি বলেন, দুর্যোগপ্রবণ এলাকার বাড়িঘর মজবুত কাঠামোতে তৈরি করতে হবে। যাতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে এসব বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অনেকেই শহরে চলে আসে। এরা শহরে এসে বস্তিতে আশ্রয় গ্রহণ করে। এসব বস্তিতে মানুষ অত্যন্ত মানবেতরভাবে জীবন যাপন করে।

মোশাররফ বলেন, বস্তিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করতে তাদের অনেক টাকা ব্যয় করতে হয়। এসব টাকা একশ্রেণির অসাধু ব্যক্তিদের পকেটে যায়। এ কারণে সরকার বস্তিবাসীদের জন্য ১০ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে ৫৫০টি ফ্ল্যাটের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। অল্প ভাড়ার বিনিময়ে বস্তিবাসীরা এসব ফ্ল্যাটে বসবাস করার সুযোগ পাবে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক খালিদ মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক আবু সাদেক ও অংশিদার সংগঠন ফ্রেন্ডশিপের কাজী এমদাদুল হক।

এমআর/