চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেন জব্দের ঘটনায় পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ না করে, র্যাবকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে, ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শাহেনূর এ আদেশ দেন।
ভোজ্যতেল ঘোষণায় তরল কোকেন আমদানির এ ঘটনায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের মালিক নূর মোহাম্মদসহ কয়েকজনকে আসামি করে মাদক আইনে একটি মামলা করেছিল পুলিশ; পরে আদালত চোরাচালানের ধারা যুক্ত করার নির্দেশ দেয়।
চোরাচালানের মামলায় গত ১৪ মে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রে নূর মোহাম্মদকে বাদ দেওয়া হয়। এরপর গত ৯ অগাস্ট তাতে নারাজি জানিয়ে অধিকতর তদন্তের দাবি করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ।
এ বিষয়ে শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার আদালতের এ আদেশ এল।
চট্টগ্রাম মহানগর সরকারি কৌঁসুলি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রটি র্যালবের করা তদন্তের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় ত্রুটিপূর্ণ উল্লেখ করে আদালতে নারাজি আবেদন করা হয়েছিল। মামলার এজাহারে থাকা আসামি নূর মোহাম্মদকে মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়। অথচ একই ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে র্যা বের দেওয়া অভিযোগপত্রে নূর মোহাম্মদকে আসামি করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের দেওয়া নারাজি আবেদনটি গ্রহণ করে আদালত র্যাাবকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি জানান, তদন্ত শেষে ১১ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
২০১৫ সালের ৬ জুন পুলিশের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কোকেন সন্দেহে চট্টগ্রাম বন্দরে সূর্যমুখী তেলের চালান জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। এরপর ২৭ জুন তেলের চালানের ১০৭টি ড্রামের মধ্যে একটি ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়। বলিভিয়া থেকে আসা চালানটির প্রতিটি ড্রামে ১৮৫ কেজি করে সূর্যমুখী তেল ছিল। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাসায়নিক পরীক্ষাগারসহ চারটি পরীক্ষাগারে তেলের চালানের দুটি ড্রামের (৯৬ ও ৫৯ নম্বর) নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়।
কোকেন জব্দের ঘটনায় চট্টগ্রামের বন্দর থানায় ২০১৫ সালের ২৭ জুন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। পরে আদালতের নির্দেশে চোরাচালানের অভিযোগে এই মামলায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের ধারাও সংযোজন করা হয়।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে/ ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭