জঙ্গি নেতা মুফতি আবদুল হান্নান মুন্সীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) ভোর পৌনে ৬টার দিকে তার নিজ গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার হিরণ বালিকা মাদ্রাসা ও এতিমখানা মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
মুফতি হান্নানের বড় ভাই মাওলানা মুন্সী আলীউজ্জামান তার জানাজা পড়ান। জানাজায় মুফতি হান্নানের ছেলে নুরুল করিম (১৫), চাচতো ভাই মুন্সী ফরহাদ, ভাতিজা আবু রায়হানসহ নিকট আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন। জানাজায় গোটা তিরিশেক লোক উপস্থিত ছিলেন। আত্মীয়স্বজন ছাড়া গ্রামের কেউ তার জানাজায় অংশ নেননি।
এর আগে ভোর সোয়া ৫টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তার লাশ গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। বুধবার (১২ এপ্রিল) রাতে কাশিমপুর কারাগার থেকে তার লাশ নিয়ে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া আনা হয়। প্রশাসনের কাছ থেকে পরিবারের পক্ষে মুফতি আবদুল হান্নানের লাশ গ্রহণ করেন তার বড় ভাই মাওলানা মুন্সী আলীউজ্জামান। এরপর তার মা রাবেয়া বেগম, স্ত্রী রাজিয়া পারভীন রুমা বেগম, ছেলে-মেয়ে ও স্বজনদের লাশ দেখানো হয়। তার মৃতদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা।
এ সময় মুফতি হান্নান মুন্সীর বাড়িসহ আশপাশে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
এ সময় কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিলাল হোসেন, কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুল ফারুক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব জামিল উপস্থিত ছিলেন। মুফতি হান্নানের ফাঁসির রায় কার্যকর ও সমাহিত করার মধ্য দিয়ে এক শীর্ষ জঙ্গিনেতার অবসান ঘটল। আর সেই সঙ্গে কোটালীপাড়াবাসী মুক্তি পেল এক কলঙ্কজনক অবস্থা থেকে।
এদিকে, রাতে মুফতি হান্নানের ফাঁসির রায় কার্যকরের খবর জানার সঙ্গে সঙ্গে জেলা সদর ও কোটালীপাড়াসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে আনন্দ-উল্লাস ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষে আনন্দ মিছিল বের করা হবে।